গণতন্ত্র রক্ষা ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গঠিত ‘গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি’ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও বুদ্ধিজীবী মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ২০২৪ সালের ২৩ আগস্ট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় এক সভায় ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে এই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির গঠনের উদ্দেশ্য হলো গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা সৃষ্টির বিরুদ্ধে লড়াই করা।
এই কমিটিতে শিক্ষাবিদ, লেখক, সাংবাদিক, শিল্পী, আইনজীবী, চিকিৎসকসহ সমাজের বিভিন্ন পেশার শতাধিক ব্যক্তি রয়েছেন। কমিটির যুগ্ম আহ্বায়কদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ, আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, অধ্যাপক তানজিমউদ্দীন খান, সামিনা লুৎফা নিত্রা, সীমা দত্ত, মাহা মীর্জা এবং কল্লোল মোস্তফা।
কমিটির লক্ষ্য হলো পাহাড় ও সমতলের সকল নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, নিবর্তনমূলক ও জনবিরোধী আইন বাতিল করা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, শ্রমিক ও কৃষকের অধিকার রক্ষা করা এবং দখলদারিত্বমুক্ত গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা। কমিটি গঠনের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় যে, প্রতিটি গণ-অভ্যুত্থানের পর ফ্যাসিবাদ পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয় এবং মানুষের প্রাণের বিনিময়ে অর্জন ব্যর্থ হয়। এই কমিটি সেই ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম তৈরিতে কাজ করবে।
কমিটির সদস্যদের মধ্যে আরো অনেক বিশিষ্টজনের নাম উল্লেখযোগ্য, যেমন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, অধ্যাপক আকমল হোসেন, মোশাহিদা সুলতানা রিতু, আবু সাঈদ খান, মোস্তফা জামান, অরুপ রাহী, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, মানজুর আল মতিন, সালমান সিদ্দিকী এবং আরো অনেকে। এই কমিটির কার্যকলাপ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া গেলে আমরা আপনাদেরকে অবগত করব।