ক্রীড়াবিদ

আপডেট: ৪ জানুয়ারী ২০২৫, ৩:২৯ এএম

বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের চিত্র বর্ণনায় একটি প্রবন্ধ

বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে ক্রীড়াবিদদের অবদান ও তাদের জীবিকার অনিশ্চয়তা একটি বড় সমস্যা। ক্রিকেট ও ফুটবলের বাইরে অন্যান্য খেলায় সাফল্য অর্জন করলেও অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্বীকৃতির অভাব ক্রীড়াবিদদের বিদেশে পাড়ি জমানোর একটি প্রধান কারণ। রোমান সানা-দিয়া সিদ্দিকীর যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার ঘটনা এই দুঃখজনক বাস্তবতার ইঙ্গিত বহন করে।

অনেক ক্রীড়াবিদ দীর্ঘদিন ধরে দেশের জন্য খেলেও যথাযথ পুরস্কার পান না। সাইদুর রহমান ডন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৯৪ সালে যাওয়ার পরও বাংলাদেশের অ্যাথলেটিক্সের উন্নয়নের জন্য কাজ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সুযোগের অভাব তাকে বিদেশে থিতু হতে বাধ্য করে। শুধুমাত্র ডন নয়, আমেরিকায় ই একশ'র ও বেশি বাংলাদেশি ক্রীড়াবিদ অবস্থান করছেন।

আর্চার অসীম বিশ্বাসও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। জাতীয় দলে খেলেও যথেষ্ট আয় হয় না, এবং অবসর পরবর্তী জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। এ কারণেই অনেক ক্রীড়াবিদ বিদেশে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

এলিনা সুলতানা, মানস চৌধুরী সহ অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে এই সমস্যার প্রতি আলো পড়িয়েছেন। তারা দেশে ক্রীড়াবিদদের জন্য উন্নত জীবনের প্রত্যাশা এবং অর্থনৈতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার উপর জোর দিয়েছেন। মওদুদুর রহমান শুভ এবং সৈয়দ আল জাবির সহ অনেক ক্রীড়াবিদ এই সমস্যার ব্যতিক্রম নন। মেহেদী প্রণয় তূর্য তার মেয়ের দাবাড়ু ক্যারিয়ারের জন্য স্পন্সর খোঁজার অসুবিধার কথা উল্লেখ করেছেন।

বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) ১৯৬৪ সাল থেকে সেরা ক্রীড়াবিদদের পুরস্কৃত করে আসছে। ২০২৩ সালের বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ পুরস্কার এবং পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড বিভিন্ন ক্রীড়াবিদদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। তবে এই পুরস্কার ক্রীড়াবিদদের অর্থনৈতিক সমস্যা দূর করতে সক্ষম হয়নি।

সাম্প্রতিক সালে বাংলাদেশ যুব গেমসের আয়োজন করা হয়েছে, যা ভবিষ্যতের তারকা ক্রীড়াবিদ তৈরির জন্য একটি মঞ্চ তৈরি করে। তবে দেশে ক্রীড়াবিদদের জীবন মান উন্নয়নের জন্য আরও কাজ করার আবশ্যকতা আছে। ভবিষ্যতে ক্রীড়াঙ্গন এগিয়ে নেওয়ার জন্য সরকার, সংশ্লিষ্ট সংগঠন এবং অন্যান্য সকলের সহযোগিতার আবশ্যকতা আছে।

ক্রীড়াবিদদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক স্বীকৃতি নিশ্চিত করার জন্য সরকারের পদক্ষেপের আবশ্যকতা।

মূল তথ্যাবলী:

  • বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্বীকৃতির অভাব
  • ক্রীড়াবিদদের বিদেশে পাড়ি জমানোর প্রবণতা
  • জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্তির অসুবিধা
  • ক্রীড়াবিদদের অবসর পরবর্তী জীবনের নিরাপত্তার অভাব
  • বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসপিএ) পুরস্কার বিতরণ

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - ক্রীড়াবিদ

২ জানুয়ারী ২০২৫, ৬:০০ এএম

রোমানা সানা ও দিয়া সিদ্দিকী দুজনেই বাংলাদেশের আর্চারি ক্রীড়াবিদ।