এনায়েতপুর থানা: সিরাজগঞ্জের একটি গুরুত্বপূর্ণ থানা
বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুর থানা যমুনা নদীর তীরে, ঢাকা থেকে প্রায় ১৩৭ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই থানা শাহজাদপুর, চৌহালী এবং বেলকুচি উপজেলার একাধিক ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। এনায়েতপুর শুধুমাত্র একটি প্রশাসনিক এলাকা নয়, এটি ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং অর্থনীতির দিক থেকেও সমৃদ্ধ।
ঐতিহাসিক গুরুত্ব:
এনায়েতপুরের খ্যাতি শাহ সুফি খাজা ইউনূস আলী এনায়েতপুরী নামে একজন ইসলামী ধর্ম প্রচারকের সাথে জড়িত। তাঁর উত্তরাধিকার এখানকার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে প্রভাব বিস্তার করেছে। এছাড়া, ২০০৯ সালে এনায়েতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানের আন্তর্জাতিক বছর উদযাপিত হয়, যা এই এলাকার শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক চেতনায় অবদান রেখেছে।
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড:
এনায়েতপুরের অর্থনীতি মূলত কৃষি ও তাতের তৈরি কাপড়ের উপর নির্ভরশীল। শাড়ী ও লুঙ্গি উৎপাদন এখানকার প্রধান শিল্প।
ভৌগোলিক অবস্থান ও জনসংখ্যাগত তথ্য:
এনায়েতপুর থানার সীমান্তে অবস্থিত গ্রামগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বেতিল, খামারগ্রাম, গোপালপুর, রূপনাই, খুকনি এবং গোপিনাথপুর। থানার সুনির্দিষ্ট জনসংখ্যাগত তথ্য এখানে উল্লেখ করা সম্ভব নয়। আমরা যত তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছি সেগুলো উল্লেখ করেছি। অতিরিক্ত তথ্য প্রাপ্তির পর আমরা আর্টিকেলটি আপডেট করবো।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এক দুঃখজনক ঘটনা:
২০২৪ সালের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় এনায়েতপুর থানায় ব্যাপক হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় একজন ওসিসহ অনেক পুলিশ সদস্য নিহত এবং থানার ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। এই ঘটনার পরে থানার কার্যক্রম কিছুদিনের জন্য বন্ধ ছিল এবং পরে নতুন স্থানে পুনরায় কার্যক্রম শুরু হয়। এই ঘটনার বিস্তারিত তথ্য নিচে উল্লেখিত।
পরিশেষে, এনায়েতপুর থানা সিরাজগঞ্জের জনজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক দিক দিয়ে সমৃদ্ধ।