দুটি আলেয়া বেগম সম্পর্কে তথ্য উপস্থাপন করা হচ্ছে:
প্রথম আলেয়া বেগম: এই আলেয়া বেগম একজন বিধবা নারী যিনি ২০১৪ সালে তার ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন, ২০১৩ এর অধীনে মামলা করেন। রাঙ্গামাটিতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি বিচার করা হয় এবং আদালত তাঁর পক্ষে রায় দেন। মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তার বড় ছেলে আবুল কালাম আজাদ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর ল্যান্স নায়েক ছিলেন এবং তার অন্য দুই ছেলে আর্থিকভাবে অসচ্ছল ছিলেন। আলেয়া বেগম তার বৃদ্ধ বয়সের চিকিৎসা ব্যয়ের জন্য তার ছেলের কাছে ভরণ-পোষণ চেয়েছিলেন, কিন্তু তা না পেয়ে আইনি পথ বেছে নিয়েছিলেন। এই মামলাটি পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন, ২০১৩ এর অধীনে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ রায় হিসেবে বিবেচিত।
দ্বিতীয় আলেয়া বেগম: এঁকে লোকসংগীত শিল্পী হিসেবে পরিচিত ‘বাউল মাতা’ আলেয়া বেগম। তাঁর ৫০ বছরেরও বেশি সংগীত জীবন রয়েছে। বিচ্ছেদ, পালাগান, জারিগান ও আধ্যাত্মিক গানের জন্য বিখ্যাত তিনি ১০০০ এর বেশি গান লিখেছেন এবং ‘গুণিন’ চলচ্চিত্রে গান গেয়েছেন। কোক স্টুডিও বাংলা'র 'কথা কইয়ো না' গানের মাধ্যমে তিনি মূলধারার দর্শকের কাছে জনপ্রিয় হন। এছাড়াও তিনি জয়িতা ফাউন্ডেশনের পুরস্কার লাভ করেন তাঁর সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য এবং তাদের দেশের বিভিন্ন সেক্টরে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। তার ৫ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে, যারা সেনাবাহিনী, পুলিশ, সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসা এবং সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় তার বসবাস। তিনি শরতের জবা ছবির গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।