কোক স্টুডিও বাংলা: বাংলাদেশের সংগীতের নতুন মাত্রা
২০২২ সালের ৭ই ফেব্রুয়ারি, ঢাকার একটি হোটেলে বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালেদ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের হাতে উদ্বোধন করা হয় ‘কোক স্টুডিও বাংলা’। পাকিস্তান ও ভারতে কোক স্টুডিও’র জনপ্রিয়তার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও এই ডিজিটাল মিউজিক প্ল্যাটফর্মটির আগমন ঘটে। কোকা-কোলা এর পৃষ্ঠপোষকতা করছে এবং গ্রে বাংলাদেশ এর সমন্বয়ে করছে।
প্রথম মৌসুমে ১০টি গান প্রকাশিত হয়, যার মধ্যে ‘একলা চলো রে’ ছিল থিম সং। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় মৌসুমের শুরু হয়, যা সেপ্টেম্বরে শেষ হয়। তৃতীয় মৌসুমের সম্প্রচার শুরু হবে ২০২৪ সালের ১৩ই এপ্রিল। প্রতিটি মৌসুমে দেশের প্রতিষ্ঠিত ও নবীন শিল্পীদের এক অনন্য মেলবন্ধন দেখা যায়, যারা বিভিন্ন ঘরানার গানের ফিউশনের মাধ্যমে নতুন ধারার সংগীত উপহার দিচ্ছে। এই প্ল্যাটফর্মটি বাংলা গানের নতুন প্রজন্মকে তুলে ধরার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের লোকসংস্কৃতির সঙ্গীতকেও নতুন আঙ্গিকে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। উল্লেখ্য, কিছু সমালোচনাও রয়েছে মূলত বিদেশি সঙ্গীতশিল্পীদের উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা এবং দেশী নৃ-গোষ্ঠীর গানের অপর্যাপ্ত উপস্থাপনাকে কেন্দ্র করে।
কোক স্টুডিও বাংলা'র জনপ্রিয়তা ইউটিউব ও স্পটিফাই-এর মত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ব্যাপক। ইউটিউবে এর সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ২৮ লাখ ছাড়িয়ে গেছে এবং মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ পাওয়া গানও রয়েছে। স্পটিফাই-এ স্ট্রিমিং ডিউরেশন ১.৩৮ কোটি ছাড়িয়ে গেছে, যা বাংলা গানের জনপ্রিয়তার প্রমাণ বহন করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও কোক স্টুডিও বাংলা ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। টিকটক ও ইনস্টাগ্রামে এর গানগুলোর উপর ভিত্তি করে লাখ লাখ ইউজার জেনারেটেড কন্টেন্ট তৈরি হয়েছে।
কোক স্টুডিও বাংলা শুধুমাত্র সংগীত নয়, বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের একটি প্রতীক। এটি দেশি সংগীতকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরার একটি উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ।