অচেনা দেশ

আপডেট: ৪ জানুয়ারী ২০২৫, ৫:২৬ এএম

অচেনা দেশ: ২০২৫ সালের কোটা আন্দোলন ও তার পরিণতি

২০২৫ সালের শুরুতে বাংলাদেশে কোটা আন্দোলন নামে এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটে যা দেশের ইতিহাসে কলঙ্ক হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। এই আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হলেও পরবর্তীতে সরকারের সাথে সংঘর্ষের মধ্যে অনেক ছাত্র-ছাত্রীসহ অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারায়। আহতদের সংখ্যাও ছিল অগণিত। আন্দোলনের প্রকৃতি, কারণ, এবং সংঘর্ষের হিংসাত্মক রূপ বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই লেখায় ঐ সময়কার ঘটনা ও তার প্রভাব তুলে ধরা হবে।

আন্দোলনের উত্থান ও সংঘর্ষ:

কোটা আন্দোলন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলন থেকে শুরু হয়। এই আন্দোলন ক্রমশ হিংসাত্মক রূপ ধারণ করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতি বল প্রয়োগ এবং নির্বিচারে গুলিবর্ষণের ফলে অনেক ছাত্র-ছাত্রী মারা যায়। রংপুরের আবু সাঈদ এই আন্দোলনের একজন প্রতীক চরিত্র হিসাবে উঠে আসেন।

হতাহতের সংখ্যা:

পত্রপত্রিকার প্রাথমিক প্রতিবেদন মতে ২১৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল, যদিও সরকারের দাবি ছিল ১৪৭ জন। অন্যান্য প্রতিবেদনে এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়। মৃতদের অধিকাংশই ছাত্র-ছাত্রী ছিলেন, যার মধ্যে কয়েকজন ছাত্রীও ছিলেন।

ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা:

আন্দোলনের সময় বাংলাদেশ টেলিভিশন, ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের কেন্দ্র, বিআরটিএ ভবন, সেতু ভবন সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়। নরসিংদীর কারাগারেও হামলা করা হয়। এসব স্থাপনা 'কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন' (কচও) হিসেবে তালিকাভুক্ত ছিল বলে বিশ্বাস করা হয় যদিও এই স্থাপনাগুলো রক্ষায় কেন পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে পারেনি তা প্রশ্ন রাখে।

তদন্ত এবং দায়িত্ব:

সরকার আবু সাঈদের মৃত্যুর বিচার বিভাগীয় তদন্তের হুকুম দিলেও অন্যান্য হতাহতের বিষয়ে তদন্তের কোন খবর নাই। এই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত সহিংসতার বিষয়গুলো এখনো অস্পষ্ট থাকছে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:

এই ঘটনার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা চিন্তা প্রকাশ করে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ও উঠে।

উপসংহার:

২০২৫ সালের কোটা আন্দোলন বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়। এই আন্দোলনের ফলে যে প্রাণহানি এবং ক্ষতি হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই ঘটনার জন্য দায়ীদের শাস্তি এবং এই ধরণের ঘটনা পুনরায় ঘটনা প্রতিরোধ করার জন্য সরকারকে সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে। এই ঘটনার পরিণতি দীর্ঘদিন বাংলাদেশের মানুষের মনে স্থান করে রাখবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ২০২৫ সালের কোটা আন্দোলনে অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রীসহ মানুষ প্রাণ হারায়।
  • আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত বল প্রয়োগ ও নির্বিচার গুলিবর্ষণের অভিযোগ উঠে।
  • বাংলাদেশ টেলিভিশন, বিআরটিএ ভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
  • সরকার আবু সাঈদের মৃত্যুর বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয়, তবে অন্যান্য হতাহতের বিষয়ে তদন্তের ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
  • এই ঘটনা আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - অচেনা দেশ

৩ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলা ট্রিবিউনের গল্পে সাজিদ সাহেব তার স্বপ্নে এক অচেনা দেশে যায়।