হারবাং: কক্সবাজারের একটি ঐতিহ্যবাহী ইউনিয়ন
বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার অন্তর্গত হারবাং ইউনিয়ন এর আয়তন ১৭,০৯২ একর (৬৯.১৭ বর্গ কিলোমিটার)। ২০২৩ সালের হিসাবে, ইউনিয়নের লোকসংখ্যা ছিল প্রায় ৪৪,৮২০ জন। চকরিয়া উপজেলা সদর থেকে হারবাংয়ের দূরত্ব প্রায় ১১ কিলোমিটার।
ঐতিহাসিক গুরুত্ব:
জনশ্রুতি অনুসারে, বৌদ্ধ ধর্মপ্রচারক ভ্যেয়াইয়ার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত বসতি হিসাবে হারবাংয়ের উৎপত্তি। অন্যান্য মতে, কুখ্যাত পতুর্গিজ জলদস্যু হার্মাদের প্রধান ঘাঁটি হিসেবেও হারবাং পরিচিত ছিল। আবার নুনাছড়ি এবং রাখাইন পাড়া নামেও এ এলাকার পরিচিতি ছিল। উত্তর-পূর্বে চাঁদের মতো পাহাড়ের কোলে অবস্থানের কারণে 'পহরচাঁদা' নামেও এর ডাক ছিল।
ভৌগোলিক অবস্থান ও প্রশাসন:
চকরিয়া উপজেলার সর্ব-উত্তরে অবস্থিত হারবাং ইউনিয়নের দক্ষিণে বড়ইতলী ইউনিয়ন, পশ্চিমে পেকুয়া উপজেলার শীলখালী ও টৈটং ইউনিয়ন, উত্তরে চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও লোহাগাড়ার চুনতি ইউনিয়ন এবং পূর্বে বান্দরবানের লামা উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়ন অবস্থিত। হারবাং ইউনিয়ন চকরিয়া উপজেলার ১নং ইউনিয়ন পরিষদ এবং চকরিয়া থানার হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির আওতাধীন। জাতীয় সংসদের ২৯৪নং (কক্সবাজার-১) নির্বাচনী এলাকার অংশ।
অর্থনীতি ও শিক্ষা:
হারবাংয়ের সাক্ষরতার হার ৩২.০৯%। এখানে ৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৩টি দাখিল মাদ্রাসা, ১টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। হারবাং বাজার, হারবাং বাস স্টেশন বাজার, হারবাং লালব্রীজ বাজার, হারবাং গয়ালমারা বাজার, উত্তর হারবাং নয়া বাজার, মগ বাজার এবং ইনানী রিসোর্ট প্রধান হাট/বাজার। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক হলো যোগাযোগের প্রধান সড়ক। ৩৮টি মসজিদ, ৭টি মন্দির, ১১টি বিহার এবং ১টি গীর্জা রয়েছে। একটি নির্মাণাধীন রেলওয়ে স্টেশনও রয়েছে ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে প্রকল্পের অংশ হিসেবে।
সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ:
পাহাড়ী এলাকার কারণে বর্ষায় পাহাড় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে, যা রেল যোগাযোগে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।