হাতীবান্ধা উপজেলা, লালমনিরহাট: একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত লালমনিরহাট জেলার অন্তর্গত একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা হল হাতীবান্ধা। উপজেলাটির সীমানা উত্তরে পাটগ্রাম উপজেলা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, দক্ষিণে কালীগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং পশ্চিমে নীলফামারী জেলার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার সাথে। ২৮৮.৪১ বর্গ কিমি আয়তনের এই উপজেলার জনসংখ্যা প্রায় ২৩৩৯২৭।
ঐতিহাসিক গুরুত্ব: ১৯১৪ সালে হাতীবান্ধা থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ১৫ এপ্রিল ১৯৮৩ সালে উপজেলায় রূপান্তরিত হয়। মুক্তিযুদ্ধে হাতীবান্ধা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১৯৭১ সালের ৯ মার্চ এখানে বাংলাদেশের মানচিত্র অঙ্কিত পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং ৮ এপ্রিল পাকবাহিনী হাতীবান্ধায় অত্যাচার চালায়। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্নস্বরূপ এখানে ৫টি গণকবর এবং ৪টি স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে।
ভৌগোলিক অবস্থান ও অর্থনীতি: তিস্তা নদীর চরাঞ্চলে অবস্থিত হাতীবান্ধায় তামাক, ভুট্টা, ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ভাল ফলন হয়। কৃষিই এখানকার অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। এছাড়াও, ডাক্তর, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ এখানে বসবাস করেন।
শিক্ষা ও সংস্কৃতি: হাতীবান্ধায় ৪টি কলেজ, ৩৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৫৬টি মাদ্রাসা রয়েছে। এছাড়াও, বেশ কিছু লাইব্রেরি, নাট্যদল ও ক্লাব রয়েছে। তিতাস ব্যারেজ ও শালবন হাতীবান্ধার দর্শনীয় স্থান।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
- উপজেলার শিক্ষার হার ৪৫.৩%।
- গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: আলিমুদ্দিন ডিগ্রি কলেজ, হাতীবান্ধা মহিলা কলেজ, বড়খাতা মহাবিদ্যালয় ইত্যাদি।
- গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: গরিবুল্লাহ শাহের মাযার।
- যোগাযোগ: পাকারাস্তা ১০২ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ২ কিমি, কাঁচারাস্তা ৫৭৫ কিমি; রেলপথ ১৮ কিমি; নৌপথ ৫ কিমি।
আশা করি এই তথ্য আপনাদের জন্য উপকারী হবে। হাতীবান্ধা উপজেলা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার জন্য আমরা আপনাকে সংশ্লিষ্ট সরকারি ওয়েবসাইট বা উপজেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেব।