সিলেটে দুই দিনব্যাপী হাছন উৎসব সম্পন্ন হয়েছে। প্রয়াত মরমি কবি হাছন রাজার স্মরণে হাছন রাজা লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদ সিলেট এই উৎসবের আয়োজন করে। ২০শে ডিসেম্বর বিকাল ৩টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শুরু হয় উৎসবের দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা। স্থপতি ও নাট্যকার শাকুর মজিদ হাছন রাজার বিখ্যাত গান ‘ঘুড্ডি উড়াইলো মোরে’সহ বেলুন ও ঘুড়ি উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। ডাঃ জহিরুল ইসলাম অচিনপুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে বৃহত্তর সিলেটের বিশিষ্ট শিল্পীরা হাছন রাজার গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন। হাজার হাজার দর্শক উপস্থিত ছিলেন। পরদিন, ২১শে ডিসেম্বর, রিকাবিবাজারের কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ডাঃ জহিরুল ইসলাম অচিনপুরী সভাপতিত্ব করেন এবং শাকুর মজিদ, আকরামুল ইসলাম, আবু বক্কর সিদ্দিক, জামাল উদ্দিন হাসান বান্না, সুমন কুমার দাশ, মোস্তফা সেলিম ও সৈয়দা আঁখি হক সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা হাছন রাজার সৃষ্টিকর্মের গুরুত্ব ও আগামী প্রজন্মের কাছে তা পৌঁছে দেওয়ার উপর জোর দেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে সাতজন গুণীজনকে ‘হাছনরত্ন সম্মাননা’ পদক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মোশাহিদ আলীকে বিশেষ সম্মাননা সনদ প্রদান করা হয়। এরপর দেশের বিশিষ্ট শিল্পীরা হাছন রাজার গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন। শাকুর মজিদ ‘হাছন রাজার স্বরূপ’ শীর্ষক ভিজুয়্যাল ডকুমেন্টরি উপস্থাপন করেন।
হাছন উৎসব
আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম
মূল তথ্যাবলী:
- সিলেটে দুই দিনব্যাপী হাছন উৎসব অনুষ্ঠিত
- প্রয়াত মরমি কবি হাছন রাজার স্মরণে আয়োজন
- শহীদ মিনার ও কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠান
- বিশিষ্ট শিল্পীদের অংশগ্রহণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
- ‘হাছনরত্ন সম্মাননা’ পদক প্রদান
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।
গণমাধ্যমে - হাছন উৎসব
এই উৎসবে ৭ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ‘হাছনরত্ন’ সম্মাননা প্রদান করা হয়।