স্বৈরাচার: অবাধ ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরোধী একটি শাসনব্যবস্থা। এতে একজন ব্যক্তি বা একটি ছোটো গোষ্ঠী নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারী হয়, জনগণের ইচ্ছা ও অধিকারকে উপেক্ষা করে। ইতিহাস জুড়ে বিভিন্ন দেশে স্বৈরাচারী শাসন দেখা গেছে, যার ফলে জনগণের অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছে, অর্থনীতি ধ্বংস হয়েছে এবং অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে। স্বৈরাচারী শাসকগণ প্রায়শই সেনাবাহিনী বা অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকে এবং বিরোধীদের দমন করে। জনগণের অধিকার রক্ষা এবং স্বাধীনতা অর্জনের জন্য গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রূপে স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, হিটলারের নাজি জার্মানি, স্টালিনের সোভিয়েত ইউনিয়ন, এবং মুসোলিনির ইতালি ছিলো স্বৈরাচারী শাসনের উজ্জ্বল উদাহরণ। এই ধরনের শাসন ব্যবস্থায় মানবাধিকার লঙ্ঘন, অর্থনৈতিক অনাচার এবং রাজনৈতিক নিপীড়ন প্রায়ই ঘটে। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিরোধ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
স্বৈরাচার
মূল তথ্যাবলী:
- স্বৈরাচার হলো একজন ব্যক্তি বা একটি ছোটো গোষ্ঠীর নিরঙ্কুশ ক্ষমতা
- জনগণের অধিকার উপেক্ষা করে স্বৈরাচার চলে
- সেনাবাহিনী বা নিরাপত্তা বাহিনীর সাহায্যে ক্ষমতা ধরে রাখে স্বৈরাচারীরা
- স্বৈরাচারী শাসন মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অর্থনৈতিক অনাচারের জন্ম দেয়
- গণতন্ত্রের মাধ্যমে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করা প্রয়োজন