স্বামীর পলাতক: একাধিক ঘটনার বিশ্লেষণ
সম্প্রতি বাংলাদেশে একাধিক ঘটনায় স্ত্রী নির্যাতন ও হত্যার পর স্বামী পলাতকের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এসব ঘটনায় যৌতুকের দাবী, পারিবারিক কলহ, মাদকাসক্তি, অর্থনৈতিক সমস্যা ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে স্ত্রীদের নির্যাতন ও হত্যা করা হয়েছে। পুলিশের তদন্ত ও আদালতের রায়ের মাধ্যমে এসব ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া চলছে। তবে এসব ঘটনায় পুলিশের তৎপরতা, আইন প্রয়োগের দক্ষতা এবং সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
ঘটনা ১: মাদারীপুরের গৃহবধূর হত্যা
মাদারীপুরে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় আসমা আক্তার (২৮) নামে এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তার স্বামী উজ্জ্বল হাওলাদার ও তার পরিবার পলাতক রয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, টাকা না দেওয়ায় স্বামীর পরিবার আসমাকে হত্যা করেছে। উজ্জ্বল ইতালিতে বসবাস করত এবং টাকার জন্য আসমা ও তার পরিবারকে হুমকি দিত।
ঘটনা ২: বাগেরহাটে স্ত্রী হত্যা
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় ডলি বেগম (৩৫) নামে এক নারীকে হত্যা করা হয়। তার স্বামী সোহাগ শেখ (৪০) পলাতক রয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
ঘটনা ৩: সাভারে গৃহবধূ হত্যা
ঢাকার সাভারে স্বর্ণালি আক্তার (২৭) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। তার স্বামী আকবর হোসেনসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক। দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া চলছিল।
ঘটনা ৪: সাভারে আরও এক গৃহবধূর মৃত্যু
সাভারের রাজফুলবাড়িয়ার খাত্রাপাড়ায় শিউলি বেগম (২৩) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। তার স্বামী নুরুল হক বাবু পলাতক। স্থানীয়দের ধারণা, মাদকাসক্ত স্বামী মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় শিউলিকে হত্যা করেছে।
ঘটনা ৫: নীলফামারীতে বিশেষাঙ্গ ক্ষত
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় আব্দুল হাকিম (৩০) নামে এক ব্যক্তির বিশেষাঙ্গ কেটে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। তার দ্বিতীয় স্ত্রী আসমা বেগম (২৫) এই ঘটনার জন্য দায়ী বলে অভিযোগ উঠেছে। আসমা তৃতীয় বিয়ে করার বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়ে এ কাজ করেছে বলে জানা গেছে। আসমা পলাতক রয়েছে।
ঘটনা ৬: মেহেরপুরে স্বামীর গোপনাঙ্গ ক্ষত
মেহেরপুরে ইমাম হোসেন নামে এক ব্যক্তির গোপনাঙ্গ কেটে দেওয়া হয়। তার স্ত্রী নাসরিন খাতুন (পলাতক) এই ঘটনার জন্য দায়ী। ইমামকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন করা হয়েছে।
ঘটনা ৭: বগুড়ায় যৌতুকের জন্য হত্যা
বগুড়ার কাহালু উপজেলায় আবদুর রাজ্জাক (৪৮) তার স্ত্রী এলেমা বিবিকে যৌতুকের জন্য হত্যা করে। আদালত আবদুর রাজ্জাককে ফাঁসির দণ্ড দিয়েছে।
উল্লেখ্য যে: এসব ঘটনা শুধুমাত্র উদাহরণ। বাংলাদেশে এ ধরণের ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সামাজিক সংগঠনগুলোকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। সচেতনতা বৃদ্ধি, শিক্ষা ও আইন প্রয়োগের মাধ্যমে এসব ঘটনা রোধ করা সম্ভব।