স্বামী: পরিবারের ভিত্তি, সমাজের অংশ
একজন স্বামী কেবলমাত্র একজন পুরুষ নন, বরং তিনি একজন পরিবারের মূল ভিত্তি, সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একজন স্বামীর ভূমিকা, দায়িত্ব ও অধিকার সমাজ, সংস্কৃতি ও কালের স্রোতের সাথে পরিবর্তিত হতে পারে। ঐতিহ্যগতভাবে, বিশেষ করে বিষমকামী বিবাহে, স্বামীকে পরিবারের প্রধান ও উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু বর্তমানে এই ধারণা অনেকটাই পরিবর্তিত হয়েছে। অনেক স্ত্রীও পেশাগতভাবে স্বাধীন এবং পরিবারের অর্থনীতিতে যোগদান করেন। ফলে স্বামীর ভূমিকা এখন আর শুধুমাত্র উপার্জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং তিনি পরিবারের যত্ন, সন্তানদের লালন-পালন, স্ত্রীর সাথে সমান অংশীদারিত্বে পরিবারের দায়িত্ব পালন, সহযোগিতা এবং পরস্পর সম্মানের উপর নির্ভরশীল।
একগামী ব্যবস্থায় একজন স্বামী ও একজন স্ত্রীর মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। অন্যদিকে, বহুগামী ব্যবস্থায়, একজন পুরুষ একাধিক স্ত্রীর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে পারেন। আইনগতভাবে স্ত্রী থেকে আলাদা হওয়ার পর একজন পুরুষকে প্রাক্তন স্বামী বলা হয়, আর স্ত্রীর মৃত্যুর পর তাকে বিধুর বলা হয়।
স্বামীর ভূমিকা: একজন স্বামীর ভূমিকা বিভিন্ন দিক নিয়ে গঠিত, যেমন: স্ত্রীর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা, সন্তানদের লালন-পালন, পরিবারের আর্থিক যত্ন নেওয়া, পরিবারের প্রতি সব ধরণের সহযোগিতা করা, স্ত্রীর সাথে সমান অংশীদারিত্বে পরিবারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা, পরিবারের সকল সদস্যের প্রতি ভালোবাসা এবং আন্তরিকতা বজায় রাখা।
স্বামী ও সমাজ: স্বামীর ভূমিকা সমাজের প্রতিও ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলে। স্বামী হিসেবে তার আচরণ, দায়িত্ব পালন, সামাজিক কার্যাবলীতে অংশগ্রহণ - সবকিছু সমাজের ওপর প্রভাব ফেলে।
উপসংহার: স্বামীর ভূমিকা সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হলেও, তার প্রতিটি ভূমিকাই গুরুত্বপূর্ণ ও পরিবার ও সমাজের অগ্রযাত্রার জন্য অত্যন্ত জরুরি। সম্মান, ভালোবাসা, সহযোগিতা এবং অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা পরিবারই সুন্দর ও সুখী জীবনের ভিত্তি স্থাপন করে।