সোনাহাট

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৯:৩৮ পিএম

সোনাহাট: বাণিজ্যের নতুন দিগন্ত

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত সোনাহাট একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর, যা কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বঙ্গ সোনাহাট ইউনিয়নে অবস্থিত। ২০১২ সালের ১৭ নভেম্বর উদ্বোধিত হলেও, পণ্য আমদানি শুরু হয় ২০১৪ সালের ২৮ এপ্রিল। ভারতের আসাম এবং পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত হওয়ায়, এই বন্দরটি ভারতের 'সাত বোন' রাজ্যগুলোর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার হিসাবে কাজ করছে।

ঐতিহাসিকভাবে, নদীর তীরবর্তী অবস্থানের কারণে ব্রিটিশ আমলে সোনাহাট একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র ছিল। পূর্বে ভারতের সাথে রেল যোগাযোগ ও জনসাধারণের অবাধ যাতায়াত ছিল। এই ঐতিহাসিক যোগাযোগের ধারাবাহিকতায়, এবং উভয় দেশের জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী সোনাহাট স্থলবন্দর চালু হয়। বর্তমানে অভিবাসন চালুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বর্তমানে এই বন্দর দিয়ে প্রধানত পাথর ও কয়লা আমদানি করা হয়। প্রতিদিন ভারতের গোলকগঞ্জ হতে গড়ে ৮০-১০০টি ট্রাক পাথর ও কয়লা নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বাংলাদেশ থেকে ইলিশ মাছ, মেলামাইনের তৈরী বাসনপত্র এবং কিছু ঔষধ রপ্তানি করা হয়। আরো ১০টি পণ্য আমদানির অনুমতি রয়েছে (পাথর, কয়লা, তাজা ফল, ভুট্টা, গম, চাল, ডাল, আদা, পিঁয়াজ, রসুন) এবং নিষিদ্ধ পণ্য ব্যতীত সকল বাংলাদেশী পণ্য রপ্তানির অনুমতি রয়েছে। স্থায়ী ওয়ারহাউস এবং কাস্টমস হাউস নির্মাণের কাজ এখনো অসম্পূর্ণ।

সোনাহাট স্থলবন্দরের উন্নয়নে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস সহায়তা করছে। তৎকালীন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহাজান খান ২০১৮ সালের জুন মাসে এই স্থলবন্দরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। তবে স্থলবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিকরণের জন্য আরও উদ্যোগের প্রয়োজন রয়েছে। আমরা এই বিষয়গুলিতে আপনাকে আরও তথ্য দিয়ে আপডেট রাখবো যখনই তার উপলব্ধতা হবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • সোনাহাট স্থলবন্দর কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় অবস্থিত।
  • ২০১২ সালে উদ্বোধন, ২০১৪ সালে পণ্য আমদানি শুরু।
  • ভারতের আসাম ও পশ্চিমবঙ্গের সাথে বাণিজ্যিক যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।
  • পাথর ও কয়লা আমদানি প্রধান।
  • অভিবাসন চালুর প্রক্রিয়াধীন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।