রাজশাহীর তানোর উপজেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও শিল্পপতি অ্যাডভোকেট সুলতানুল ইসলাম তারেক রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি বিএনপির রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড কেন্দ্র করে বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ।
২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর তানোর উপজেলা পরিষদের সামনে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন সুলতানুল ইসলাম তারেক। এই সংঘর্ষে তিনি এবং পৌর যুবদলের আহবায়ক সাইদুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজানের অনুসারীরা এই সংঘর্ষের পেছনে ছিল। পরে সুলতানুল ইসলাম তারেক তানোর থানা মোড়ে একটি পথসভায় বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও, ২০২৫ সালের ৪ জানুয়ারী তানোর উপজেলায় শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে আরেকটি সংঘর্ষে জড়িত থাকার কথা বলা হয়। এই সংঘর্ষে মেজর জেনারেল (অব.) শরিফ উদ্দিনের অনুসারীদের সাথে সংঘর্ষের কথা উল্লেখ করা হয়। উভয় সংঘর্ষে অনেক নেতাকর্মী আহত হন এবং ক্ষয়ক্ষতি হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল কিনা সে ব্যাপারে প্রতিবেদনে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়।
সুলতানুল ইসলাম তারেক বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের প্রচারেও অংশগ্রহণ করেন এবং লিফলেট বিতরণের সময়ও হামলার শিকার হন। তিনি প্রয়াত বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার আমিনুল হকের আস্থাভাজন এবং এলাকায় জনসেবায় সক্রিয় থাকার কারণে তার জনপ্রিয়তা অনেক। তিনি ঈদ সামগ্রী বিতরণ ও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। তবে, তার বয়স, জাতিগত পরিচয় ও ধর্মীয় সম্প্রদায় সম্পর্কে প্রতিবেদনে কোন উল্লেখ নেই। আমরা আশা করছি ভবিষ্যতে আরও তথ্য উপলব্ধ হলে এই লেখা আপডেট করা হবে।