সুমন ওরফে ডিবি সুমন নামটি একাধিক ব্যক্তি বা ঘটনার সাথে জড়িত বলে মনে হচ্ছে। প্রদত্ত তথ্য থেকে বেশ কয়েকটি সুমন ওরফে ডিবি সুমন সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে, যার ফলে তাদের মধ্যে পার্থক্য স্পষ্ট করা প্রয়োজন।
প্রথম সুমন ওরফে ডিবি সুমন: আদাবরে কিশোর গ্যাংয়ের সাথে সম্পৃক্ত একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী এবং কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান। তিনি ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসু ও কাসুর কিশোর গ্যাং বাহিনীর প্রধান ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হাসু ও কাসু পালিয়ে যাওয়ায়, সুমন তাদের ভাই স্বাধীনের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছে। তার নেতৃত্বে শুক্রবার আদাবরের মেহেদীবাগ ও আদাবর বাজার এলাকায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এলাকাবাসীর ওপর হামলা চালানো হয়, যার ফলে অর্ধশতাধিক বাসিন্দা আহত হন।
দ্বিতীয় সুমন ওরফে ডিবি সুমন (হুন্ডি সুমন): একজন মানব পাচার সিন্ডিকেটের প্রধান। কুমিল্লায় ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শংকুচাইল বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ব্রাহ্মণপাড়া এলাকায় হুন্ডি ব্যবসা, মাদক চোরাচালান এবং মানব পাচার সিন্ডিকেট পরিচালনা করতেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তার মানব পাচারের ব্যবসা বেড়ে যায়। কুমিল্লার দানব খ্যাত সাবেক এমপি বাহাউদ্দিনের কন্যা তাহসিন বাহার সূচনা সহ অনেক আওয়ামী লীগ নেতাদের ভারতে পালানোর সুযোগ করে দিয়েছেন।
তৃতীয় সুমন ওরফে ডিবি সুমন (নূর জুয়েলার্স চুরি): ঢাকার ভাটারা থানাধীন ১০০ ফিট রোডের নূর জুয়েলার্সে চুরির ঘটনার সাথে জড়িত আটজনের চক্রের একজন সদস্য।
চতুর্থ সুমন ওরফে ডিবি সুমন (বেনাপোল): যশোরের বেনাপোলে সাড়ে ৩ কেজি স্বর্ণের বার আত্মসাৎকারী সন্দেহে অপহরণ ও হত্যার শিকার ওমর ফারুকের আরেক নাম।
পঞ্চম সুমন ওরফে ব্যারিস্টার সুমন: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত ব্যক্তিত্ব এবং হবিগঞ্জ -৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তাকে ছাত্র হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রদত্ত তথ্যে সুমন ওরফে ডিবি সুমনদের বয়স, জাতিগত পরিচয়, এবং সম্প্রদায় সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। অধিক তথ্য পাওয়া গেলে আমরা এই নিবন্ধটি আপডেট করব।