সামরিক সংঘর্ষ

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১:১৩ পিএম

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুর্কি-সমর্থিত গোষ্ঠী ও কুর্দি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুরস্ক-সমর্থিত বিভিন্ন গোষ্ঠী ও কুর্দি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ১০০ জনের অধিক যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। যুক্তরাজ্য ভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস রবিবার (৫ জানুয়ারি ২০২৫) এ তথ্য জানিয়েছে। সংঘর্ষটি শুরু হয়েছিল শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায়, মানবিজ শহরের আশপাশের কয়েকটি গ্রামে।

এই সংঘর্ষে তুরস্ক-সমর্থিত গোষ্ঠীর ৮৫ জন এবং কুর্দি-সংখ্যাগরিষ্ঠ সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) এর ১৬ জন সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। এসডিএফ তাদের এক বিবৃতিতে দাবি করেছে যে তারা তুর্কি ড্রোন ও বিমান ব্যবহার করে চালানো সব হামলা প্রতিহত করেছে।

গত ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ইসলামপন্থি বিদ্রোহীদের নেতৃত্বাধীন অভিযান শুরুর ১১ দিন পর ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতন ঘটে। আসাদের পতনের পরপরই উত্তর সিরিয়ায় তুর্কি-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো আবারও এসডিএফের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। তুর্কি-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো এসডিএফের কাছ থেকে উত্তর আলেপ্পো প্রদেশের মানবিজ ও তাল রিফাত শহরের দখল নেয়। তখন থেকে উত্তর সিরিয়ায় প্রায় প্রতিদিনই সংঘর্ষ চলছে।

সিরিয়ান অবজারভেটরির প্রধান রামি আবদেল রহমান বলেছেন, তুর্কি-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো রাক্কায় যাওয়ার আগে কোবানে ও তাবকা শহরের দখল নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। এসডিএফ সিরিয়ার উত্তর-পূর্বের বিস্তীর্ণ এলাকা ও পূর্বে দেইর ইজোর প্রদেশের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। তুরস্কের সামরিক বাহিনী প্রায়ই সিরিয়া ও প্রতিবেশী ইরাকে কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে হামলা করছে।

মার্কিন সমর্থন পাওয়া এসডিএফ বর্তমানে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কাছ থেকে দখল ছিনিয়ে নেওয়ার পর রাক্কাসহ ওই অঞ্চলের বেশিরভাগের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। আঙ্কারা এসডিএফকে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) অনুসারী বলে মনে করে। তুরস্কের সরকার এই গোষ্ঠীকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই সংঘর্ষের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। আমরা অতিরিক্ত তথ্য পেলে আপনাদের অবগত করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুর্কি-সমর্থিত ও কুর্দি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে ১০০ জনের বেশি যোদ্ধা নিহত।
  • শুক্রবার (৩ জানুয়ারি ২০২৫) সন্ধ্যায় মানবিজ শহরের আশেপাশে সংঘর্ষ শুরু।
  • তুর্কি-সমর্থিত গোষ্ঠীর ৮৫ জন ও এসডিএফ এর ১৬ জন নিহত।
  • এসডিএফ তুর্কি হামলা প্রতিহতের দাবি করেছে।
  • ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ইসলামপন্থি বিদ্রোহের পর সংঘর্ষের উদ্ভব।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।