ইয়েমেনের রাজধানী সানার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, দেশটির গৃহযুদ্ধ এবং আঞ্চলিক রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। ২০১৪ সালে হুথি বিদ্রোহীদের দ্বারা দখলের পর থেকে, এটি বারবার হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে এবং বহুবার এর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। বিমানবন্দরটি কেবলমাত্র যাত্রী পরিবহনের কেন্দ্র নয়, এটি মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ।
২০১৬ সালের আগস্ট থেকে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের অবরোধের কারণে বিমানবন্দরটি বন্ধ ছিল, যা দেশের মানবিক সংকটকে আরও তীব্র করে তুলেছিল। ২০১৬ সালের পর প্রথমবারের মতো ২০২৩ সালে সানা থেকে সৌদি আরবে হজযাত্রীদের নিয়ে একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু হয়, যা একটি ইতিবাচক ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হয়েছে।
তবে, বহুবার ইসরায়েলের বিমান হামলায় বিমানবন্দরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় সানা বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার ফলে বিমানবন্দরটি কার্যক্রম পরিচালনায় অক্ষম হয়ে পড়ে। এই হামলায় তিনজন নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছিল। এই ঘটনাগুলি ইয়েমেনে চলমান সংঘাতের জটিলতা ও মানবিক প্রভাবের উপর আলোকপাত করে। বিমানবন্দরটির ভবিষ্যৎ এবং এর ভূমিকা আঞ্চলিক রাজনীতির উপর নির্ভর করবে।
সানা বিমানবন্দরের উপর ইসরায়েলের বিমান হামলার পর পরিস্থিতি
সানা বিমানবন্দর: ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধ ও মানবিক সংকটের কেন্দ্রবিন্দু