বিমান হামলা

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

বিমান হামলা: আধুনিক যুদ্ধের একটি ভয়াবহ অস্ত্র

বিমান হামলা, অর্থাৎ বিমানের মাধ্যমে পরিচালিত আক্রমণ, আধুনিক যুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিমান, বেলুন, ড্রোন, যুদ্ধবিমান, বোমারু বিমান, স্থল আক্রমণ বিমান, এমনকি হেলিকপ্টার পর্যন্ত - বিভিন্ন ধরণের উড়োজান যুদ্ধের ক্ষেত্রে বিমান হামলার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই হামলাগুলি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, সামরিক ঘাঁটি, শিল্প কেন্দ্র, এবং এমনকি জনবসতিপূর্ণ এলাকাও লক্ষ্য করতে পারে। বিমান হামলার সর্বপ্রথম ব্যবহার ১৯১১ সালের ১ নভেম্বর ইতালির বৈমানিক সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট জিউলিও গাভোটির দ্বারা লিবিয়ায় তুর্কি-নিয়ন্ত্রিত দুটি ঘাঁটিতে চারটি বোমা ফেলে তুর্কি-ইতালীয় যুদ্ধের সময় ঘটে।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিমান হামলার ব্যাপক ব্যবহার দেখা যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে, কার্পেট বোমাবর্ষণের মতো বৃহৎ আকারের বিমান হামলা বিপুল সংখ্যক মানুষের মৃত্যু এবং ধ্বংসাত্মক ক্ষতির কারণ হয়েছিল। কোরিয়া যুদ্ধ, ভিয়েতনাম যুদ্ধ, এবং গালফ যুদ্ধসহ বিভিন্ন যুদ্ধে বিমান হামলার ক্ষতিকারক প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে।

আধুনিক যুদ্ধে পরিশীলিত প্রযুক্তি, যেমন স্পাইস বোমা, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন আক্রমণের মাধ্যমে বিমান হামলার ক্ষমতা অনেক বেড়েছে। এই প্রযুক্তিগুলি উচ্চ নির্ভুলতা এবং কম পার্শ্ববর্তী ক্ষতির দাবী করে, তবে এর ফলে মানবিক সংকট এবং আন্তর্জাতিক আইনের উল্লেখযোগ্য উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। বিমান হামলার নৈতিক এবং কৌশলগত দিকগুলি আজও বিশ্বব্যাপী বিতর্কের বিষয়।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯১১ সালে লিবিয়ায় প্রথম বিমান হামলার ঘটনা ঘটে।
  • প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিমান হামলার ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।
  • আধুনিক বিমান হামলায় উচ্চ নির্ভুলতার অস্ত্র ব্যবহৃত হয়।
  • বিমান হামলার নৈতিক ও কৌশলগত দিকগুলি বিতর্কের বিষয়।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - বিমান হামলা

নাইজেরিয়ার সেনাবাহিনীর ভুল বিমান হামলায় ১৬ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।

২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

আফগানিস্তানে পাকিস্তানের বিমান হামলায় ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।

২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

পাকিস্তানের বিমান হামলায় আফগানিস্তানে ৪৬ জন নিহত হয়েছে।