২০১৮ সালের ১লা ডিসেম্বর এবং ২০২৩ সালের ১৭ই ডিসেম্বর টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার মাঠে তাবলিগ জামাতের উপর সাদপন্থীদের বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাবলিগ জামাতের নেতারা। মুফতী কেফায়তুল্লাহ আজহারী-সহ তাবলিগ জামাতের নেতৃবৃন্দ দাবি করেছেন, সাদপন্থীরা তাবলিগী নয়, তারা সন্ত্রাসী চরমপন্থি বাহিনী। ১৭ই ডিসেম্বরের হামলায় তিনজন নিহত ও শত শত আহত হয়েছেন। এই হামলায় রামদা, কিরিচ, ছুরি, লোহার রড ব্যবহার করা হয়েছিল। ২০১৮ সালের হামলায় প্রায় ৫০০০ তাবলিগ জামাতের সদস্য আহত হয়েছিলেন। তাবলিগ জামাতের নেতারা সরকারের কাছে তিনটি দাবি জানিয়েছেন: ১. সাদপন্থীদের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, ২. হামলার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার করা, ৩. তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম ‘শুরাই নিজাম’ এর অধীনে আনা। জুবায়েরপন্থীরাও সাদপন্থীদের নিষিদ্ধকরণসহ তিন দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছে। তাদের অভিযোগ, ভারত ও ইসরায়েল এই হামলার সাথে জড়িত। হেফাজতে ইসলামও সাদপন্থীদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে তাদের নিষিদ্ধকরণের দাবি জানিয়েছে।
সাদপন্থী হামলা
মূল তথ্যাবলী:
- টঙ্গীতে সাদপন্থীদের হামলায় তিনজন নিহত
- ২০১৮ ও ২০২৩ সালে দুটি বৃহৎ হামলা
- সাদপন্থীদের সন্ত্রাসী চরমপন্থী বলে অভিযোগ
- সরকারের কাছে তিন দফা দাবি
- জুবায়েরপন্থীদের অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচী
গণমাধ্যমে - সাদপন্থী হামলা
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম
টঙ্গী ইজতেমা মাঠে সাদপন্থীদের হামলায় তাবলিগ জামাতের তিনজন নিহত।
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
টঙ্গী ইজতেমায় সাদপন্থীদের হামলায় ৪ জন নিহত হয়েছে।