সাগর হোসেন

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার সাবরুল এলাকার সাগর হোসেন তালুকদার (৩৫) নামে একজন ব্যক্তি, যিনি ‘টোকাই সাগর’ নামেও পরিচিত ছিলেন, এবং তার সহযোগী স্বপন (৩২) হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সাথে জড়িত একাধিক সাগর হোসেন রয়েছে। এই নিবন্ধে আমরা বগুড়ার সাগর হোসেন তালুকদারের উপর আলোকপাত করব। ২০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকে হত্যা করা হয়েছিল বলে আদালতে এক আসামি স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। সাগর হোসেন তালুকদার নিজেই চিঠি পাঠিয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন বলে জবানবন্দীতে উল্লেখ করা হয়েছে। ২২ সেপ্টেম্বর, সাবরুল ছোট মণ্ডলপাড়ায় পুকুরে মাছের খাবার দিয়ে বাজারে ফেরার পথে তাকে ও তার সহযোগী স্বপনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সাগর হোসেন তালুকদার সাবরুল বাজার এলাকার বাসিন্দা ছিলেন এবং তিনি ‘সাগর বাহিনী’ নামে পরিচিত একটি সন্ত্রাসী দলের প্রধান ছিলেন। তার বিরুদ্ধে দুটি হত্যাসহ এক ডজন মামলা ছিল। হত্যাকাণ্ডের পর, সাগর তালুকদারের বোন রোকসানা আকতার ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন। পুলিশের তদন্তে জানা যায়, সাগরের অন্যতম সহযোগী মুক্তার হোসেন হত্যাকাণ্ডের 'রাজসাক্ষী' ছিলেন এবং ঘটনার পর থেকে পলাতক আছেন। সাগর হোসেন তালুকদারের হত্যাকাণ্ড বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় দিনের বেলায় প্রকাশ্যে ঘটে যাওয়া চারটি হত্যার মধ্যে একটি। তার সাবরুল বাজারের ‘মামা-ভাগনে এন্টারপ্রাইজ’ নামের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সন্ত্রাসীদের আখড়া হিসেবে পরিচিত ছিল। তিনি জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতার ছত্রছায়ায় শাজাহানপুর, নন্দীগ্রাম ও কাহালু উপজেলার আশপাশে ৩০ গ্রামে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। সাগর হোসেন তালুকদারের মৃত্যুর পরও তার গড়ে তোলা ‘সাগর বাহিনী’ এখনও সক্রিয় থাকার অভিযোগ রয়েছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • বগুড়ার শাজাহানপুরের সাগর হোসেন তালুকদার (৩৫) ‘টোকাই সাগর’ নামে পরিচিত ছিলেন।
  • চাঁদাবাজির জেরে তার হত্যা।
  • ‘সাগর বাহিনী’ নামে তার একটি সন্ত্রাসী দল ছিল।
  • তার বিরুদ্ধে এক ডজনের বেশি মামলা ছিল।
  • হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

গণমাধ্যমে - সাগর হোসেন

সাগর হোসেন নামে এক তরুণের উপর হামলা চালানো হয় এবং তার চোখ নষ্ট হয়।