সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩:০৪ এএম
নামান্তরে:
সরাইল ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: একটি সারসংক্ষেপ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত সরাইল উপজেলা একটি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ এলাকা। ১৯৯০ সালে উপজেলা হিসেবে গঠিত হলেও, এর ইতিহাস অনেক পুরোনো। ২১৫.২৭ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই উপজেলার জনসংখ্যা প্রায় ৩১৫,২০৮ জন (২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী)। মেঘনা, তিতাস, বগদিয়া ও ভৈরব নদীর পাশাপাশি আকাশী বিল ও শাপলা বিল উল্লেখযোগ্য জলাশয়।

ঐতিহাসিক গুরুত্ব: সরাইলের হাটখোলা জামে মসজিদ (সপ্তদশ শতাব্দী), সরাইল শাহী জামে মসজিদ (মুগল আমল), আরিফাইলের সাগরদীঘি মসজিদ (ষোড়শ শতাব্দী) সহ বেশ কিছু প্রাচীন নিদর্শন ও প্রত্নসম্পদ এখানে অবস্থিত। মুক্তিযুদ্ধের সময় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে (যেমন বিটঘর) পাকবাহিনীর নৃশংসতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংগ্রামের স্মৃতি রয়েছে।

অর্থনীতি: কৃষি এখানকার অর্থনীতির মূল ভিত্তি। ধান, গম, পাট, সরিষা, ডাল, শাকসবজি প্রধান কৃষি ফসল। মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামারও উল্লেখযোগ্য। ময়দাকল, বরফকল, ইটভাটা, ওয়েল্ডিং কারখানা সহ কিছু ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প এখানে বিদ্যমান।

শিক্ষা ও সংস্কৃতি: শিক্ষার হার ৪০.৯% (২০১১)। সরাইল ডিগ্রি কলেজ (১৯৭০), সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (১৮৯৪) সহ এখানে বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। সংস্কৃতির দিক থেকে সরাইলের নিজস্ব ঐতিহ্য ও ঐতিহ্যবাহী মেলা-উৎসব রয়েছে।

প্রশাসন: সরাইল থানার আওতাধীন ৯ টি ইউনিয়ন রয়েছে।

উল্লেখযোগ্য তথ্য: সরাইলের নামকরণের ব্যাপারে বিভিন্ন মতামত প্রচলিত। সম্পূর্ণ তথ্য পেলে আমরা আপনাদের অবহিত করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৯০ সালে সরাইল উপজেলা গঠিত হয়।
  • প্রায় ৩১৫,২০৮ জন জনসংখ্যা (২০১১)।
  • কৃষি প্রধান অর্থনৈতিক কার্যক্রম।
  • বেশ কিছু ঐতিহাসিক নিদর্শন ও প্রত্নসম্পদ বিদ্যমান।
  • মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস রয়েছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।