সবুজায়ন

আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২১ এএম

সবুজায়ন বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে দেশের বনভূমি ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে, যার ফলে পরিবেশ দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হচ্ছে। বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তিরা সক্রিয়ভাবে সবুজায়ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছে।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) এর 'the state of the world's forests 2020' প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের মোট ভূমির ৩০.৪% বনভূমি। রাশিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, অস্ট্রেলিয়া, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইন্দোনেশিয়া, পেরু এবং ভারতের মতো দেশগুলিতে বনভূমির উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রয়েছে। তবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে বনভূমির পরিমাণ অত্যন্ত কম।

বাংলাদেশে সবুজায়নের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠন এবং সাধারণ জনগণ সবুজায়ন কর্মসূচীতে অংশ নিচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সবুজায়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও, নগরায়ণের ফলে সবুজ ক্ষেত্র হ্রাস পাওয়ার প্রেক্ষিতে নতুন করে বৃক্ষরোপণ ও জলাশয় সংরক্ষণে বিভিন্ন উদ্যোগ চালু হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাইকোর্ট, রমনা, ধানমণ্ডি, শুল্কান এবং মিরপুরের মতো ঢাকার কিছু এলাকা এখনও সবুজে আচ্ছাদিত।

বন ধ্বংসের হার কমানো এবং বৃক্ষরোপণ বৃদ্ধির মাধ্যমে সবুজায়নকে আরও গতিশীল করা প্রয়োজন। এর জন্য সরকারি নীতিমালা, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং সমন্বিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য। আগামী দিনগুলিতে জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবেলায় এবং পরিবেশের সুস্থতা রক্ষায় সবুজায়নকে আরও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • বাংলাদেশে বনভূমি ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।
  • জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সবুজায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা সবুজায়নে অংশ নিচ্ছে।
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সবুজায়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে।
  • নগরায়ণের ফলে হ্রাস পাওয়া সবুজ ক্ষেত্র পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - সবুজায়ন

১ জানুয়ারী ২০২৩, ৬:০০ এএম

সৌদি আরবের সবুজায়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে নতুন গাছ রোপণ করা হয়েছে।