দুই তরুণীকে ভারতে পাচারের চেষ্টা: সংগীতা বৈরাগীর অভিজ্ঞতা
গত ২৩ ডিসেম্বর, সোমবার ভোরে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনায় জয়নগর সীমান্ত থেকে বিজিবির অভিযানে উদ্ধার হয় দুই তরুণীকে। তাদের মধ্যে একজন হলেন সংগীতা বৈরাগী (২০)। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার দক্ষিণ হাজারবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা। তাকে ভারতে বিউটি পার্লারের কাজ দেওয়ার প্রলোভনে ফেঁসিয়ে পাচারের চেষ্টা করা হয়। তার সাথে আরও একজন তরুণী, সীমা আক্তার (২২), চট্টগ্রাম থেকে আটক হন।
লালটু (৩০) নামের একজন যুবক তাদেরকে প্রথমে চট্টগ্রাম ও গোপালগঞ্জ থেকে খালিশপুরে নিয়ে আসে। এরপর শুক্রবার রাতে মো. শাহিন হোসেন (২৪) নামে আরেকজনের কাছে তাদের হস্তান্তর করে। শাহিন এবং তার সহযোগীরা তাদেরকে জয়নগর গ্রামের একটি বাড়িতে আটকে রাখে। সোমবার ভোরে বিজিবির অভিযানে তাদের উদ্ধার করা হয়।
মো. শাহিন হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, তারা ওই দুই তরুণীকে ভারতে বিভিন্ন জুয়ার ক্যাসিনো, মদের বার, আবাসিক হোটেল এবং পতিতালয়ে কাজের জন্য পাচার করার চেষ্টা করছিল। এই ঘটনায় দর্শনা থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সংগীতা বৈরাগীর ঘটনাটি মানবপাচারের বর্বরতার এক চিত্র তুলে ধরে এবং দেশের তরুণীদের সুরক্ষা নিশ্চিতের প্রয়োজনীয়তায় জোর দেয়।