শ্রীবরদী উপজেলা: শেরপুর জেলার একটি প্রশাসনিক অঞ্চল
বাংলাদেশের ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা হল শ্রীবরদী। ১৯৮৪ সালে শেরপুর জেলা হিসেবে গঠিত হলে শ্রীবরদীকে উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই উপজেলায় শ্রীবরদী পৌরসভা সহ মোট দশটি ইউনিয়ন রয়েছে। উপজেলার উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্য, দক্ষিণে শেরপুর সদর উপজেলা, পূর্বে ঝিনাইগাতী উপজেলা এবং পশ্চিমে জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ ও ইসলামপুর উপজেলা অবস্থিত। ভারতের সাথে শ্রীবরদীর ১০ কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমানা রয়েছে।
শ্রীবরদীর নামকরণ নিয়ে দুটি প্রধান মত প্রচলিত। প্রথম মতানুসারে, গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত এই অঞ্চলের অপার সৌন্দর্যের কারণে এর নাম শ্রীবর্ধন হয়, যা পরবর্তীতে শ্রীবরদীতে রূপান্তরিত হয়। দ্বিতীয় মতানুসারে, 'শ্রীবরদা সুন্দরী' নামক এক সুন্দরীর নামানুসারে উপজেলার নামকরণ করা হয়েছে। শ্রী শম্ভুনাথ তালুকদারের তালুক থাকার কারণে অনেকে একে শ্রীবরদী-শম্ভুগঞ্জ বলেও ডাকে, যদিও উপজেলা সদরের মৌজার নাম শ্রীবরদী শম্ভুগঞ্জ।
২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী শ্রীবরদীর জনসংখ্যা ছিল ২,২৮,১৯৪ জন। অধিকাংশ লোক মুসলমান, তবে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হিন্দু ও আদিবাসী ও বসবাস করেন। শ্রীবরদীর অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর, ধান, পাট ও সবজি প্রধান ফসল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে শ্রীবরদী সরকারি কলেজ, আয়শা আইন উদ্দিন মহিলা কলেজ, শ্রীবরদী এম এন বি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, এমপিও ভুক্ত এ পি পি আই উচ্চ বিদ্যালয়, তাতীহাটি আইডিয়াল স্কুল, শ্রীবরদী ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা, ফতেহপুর ফাযিল মাদ্রাসা, কাকিলাকুড়া ফাযিল মাদ্রাসা উল্লেখযোগ্য। স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে আছে, একটি ১০০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে।
যোগাযোগের জন্য সিএনজি, অটোরিকশা, টেক্সি ও রিক্সা পাওয়া যায়। দূরবর্তী স্থানে যাতায়াতের জন্য ড্রিমল্যান্ড বাস সেবা রয়েছে। শ্রীবরদীর ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থানের তথ্য আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে পরবর্তীতে যুক্ত করা হবে।