বাংলাদেশে শিশু স্বাস্থ্য: দুটি প্রধান প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা
বাংলাদেশে শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নে দুটি প্রধান প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে: শিশু-মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (ICMH) এবং মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (আজিমপুর মেটারনিটি সেন্টার)।
শিশু-মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (ICMH): ঢাকার মাতুয়াইলে অবস্থিত এই ইনস্টিটিউটটি ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয় এবং ১৯৯২ সালের জুলাই মাসে কার্যক্রম শুরু করে। ১২.৬২ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানে ৬৫ শয্যার একটি হাসপাতাল, একটি ২৪ ঘণ্টা চালু উদরাময় ও অপুষ্টির জরুরি চিকিৎসা কেন্দ্র এবং প্রায় ২৩০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী (যার ৪৫% মহিলা) রয়েছে। এখানে প্রতিদিন প্রায় ১৫০০ মা ও শিশুকে বহির্বিভাগে সেবা দেওয়া হয়। ICMH মা ও শিশু স্বাস্থ্য এবং পুষ্টির অবস্থা নিরুপণ, রোগ প্রতিরোধ, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি উন্নয়ন, কম খরচে উন্নত চিকিৎসা প্রদান এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে। জালকুড়ি শাখায়ও এটি প্রতিদিন ২০০-৫০০ জন মা ও শিশুকে সেবা প্রদান করে। শিশুচিকিৎসা, স্ত্রীরোগ, ধাত্রীবিদ্যা এবং নার্সিংয়ে স্বল্পমেয়াদী স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষণও এখানে দেওয়া হয়।
মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (আজিমপুর মেটারনিটি সেন্টার): ঢাকার আজিমপুরে ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ২০ শয্যার এই ইনস্টিটিউটটি ইউনিসেফের সহায়তায় ১৯৬০ সালে ১০০ শয্যায় উন্নীত হয়। ২০০০ সালের মধ্যে জাপান সরকারের অর্থ সহায়তায় এটি ১৭৩ শয্যায় উন্নীত হয়। নিম্ন আয়ের মহিলাদের সন্তান প্রসব ও মা ও শিশু স্বাস্থ্য পরিচর্যায় বিশেষজ্ঞের সেবা প্রদান করে থাকে। এই ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক বিভাগ রয়েছে। এখানে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০০ রোগীকে বহির্বিভাগের সেবা দেওয়া হয়।
উভয় প্রতিষ্ঠানই বাংলাদেশে শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে এবং সীমিত সম্পদের মধ্যেও মা ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।