শিশির: একটি বহুমুখী শব্দ
শিশির শব্দটির দুটি প্রধান অর্থ রয়েছে: প্রথমটি হলো প্রকৃতিগত ঘটনা হিসেবে সকালে ঘাস, গাছপালা ইত্যাদির উপর জমে থাকা পানির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিন্দু। দ্বিতীয় অর্থে এটি হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী শীতকালকে বুঝায়। এই নিবন্ধে আমরা উভয় অর্থেরই আলোচনা করবো।
প্রকৃতিগত শিশির:
সন্ধ্যার পর তাপমাত্রা কমতে থাকলে বায়ুমণ্ডলে থাকা জলীয় বাষ্প শীতল বস্তুর উপর জমে ছোট ছোট পানির কণায় পরিণত হয়। এই পানির কণাই হলো শিশির। শিশিরের গঠন পৃষ্ঠটানের কারণে গোলাকার হয়। শিশিরের পরিমাণ পরিমাপের জন্য ড্রোজোমিটার নামক যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। শিশির গঠনের জন্য বাতাসের আর্দ্রতা, তাপমাত্রা, এবং বস্তুর তাপ পরিবাহিতার উপর নির্ভর করে। শুষ্ক অঞ্চলের চেয়ে আর্দ্র অঞ্চলে শিশির বেশি হয়।
শিশির (ঋতু):
হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী শিশির শীতকালকে নির্দেশ করে। এটি সাধারণত পৌষ ও মাঘ মাস, অর্থাৎ গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জির জানুয়ারী থেকে মার্চ মাসের মধ্যবর্তী সময়কে বোঝায়।
শিশির কুমার ভট্টাচার্য:
শিশির নামের সাথে আরো একজন ব্যক্তি যুক্ত, যিনি ছিলেন বিখ্যাত গণিতবিদ ও মহাকাশ বিজ্ঞানী শিশির কুমার ভট্টাচার্য (১৯৪০-২০২০)। তিনি বাংলাদেশে মহাকাশ বিজ্ঞানের অগ্রদূতদের একজন ছিলেন। তিনি বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। তার গবেষণার ক্ষেত্র ছিল তারকা ও গ্রহ-নক্ষত্রের গঠন প্রকৃতি এবং মহাবিশ্বের বিস্তৃতি। তিনি বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেমিনার ও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেছেন।
এই লেখায় শিশিরের দুটি প্রধান দিক তুলে ধরা হয়েছে। শিশির কুমার ভট্টাচার্য সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য যোগ করার জন্য আমাদের কাছে অতিরিক্ত তথ্য প্রয়োজন। আশা করি, ভবিষ্যতে এই লেখা আরও সমৃদ্ধ করা যাবে।