শচীন রমেশ তেন্ডুলকর: ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তী
শচীন রমেশ তেন্ডুলকর (জন্ম: ২৪ এপ্রিল, ১৯৭৩) বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। মারাঠি পরিবারে জন্মগ্রহণকারী শচীন ১৬ বছর বয়সে ১৯৮৯ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক করেন। প্রায় ২৪ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবদান রেখে ২০১৩ সালে তিনি অবসর নেন।
তার অভিষেকের আগে, ছোটবেলায় বান্দ্রা (পূর্ব) অঞ্চলের সাহিত্য সহবাস কো-ওপারেটিভ হাউসিং সোসাইটিতে বসবাসকারী শচীন টেনিস খেলার প্রতি আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু তার দাদা অজিত তাকে দাদরের শিবাজী পার্ক অঞ্চলে বিখ্যাত ক্রিকেট কোচ রমাকান্ত আচরেকরের কাছে নিয়ে যান, যিনি তার ক্রিকেট জীবনের ভিত্তি স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। শারদাশ্রম বিদ্যামন্দির উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি ক্রিকেটে নিজেকে গড়ে তোলেন। মুম্বইয়ের বিভিন্ন ক্লাবে খেলে তিনি দ্রুত সুনাম অর্জন করেন, যেমন জন ব্রাইট ক্রিকেট ক্লাব ও ক্রিকেট ক্লাব অব ইন্ডিয়া।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শচীনের সাফল্য অতুলনীয়। টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অসংখ্য রান, শতক ও বিশ্বরেকর্ড তার নামে রয়েছে। তিনি একমাত্র ক্রিকেটার যিনি টেস্ট ও একদিনের ক্রিকেট মিলিয়ে ১০০ শতক করেছেন। এছাড়াও, একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি প্রথম দ্বি-শতরানের মালিক। তার ৫০,০০০ রানের অভূতপূর্ব সাফল্য ক্রিকেট ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম, ব্রেবোর্ন স্টেডিয়াম, লর্ডস, ইডেন গার্ডেন্স, ফিরোজ শাহ কোটলা মাঠ সহ বিশ্বের বিভিন্ন স্টেডিয়ামে তিনি অনেক স্মরণীয় ম্যাচ খেলেছেন।
শচীন ক্রিকেটের বাইরেও বিভিন্ন সম্মাননা পেয়েছেন। রাজীব গান্ধী খেলরত্ন, পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ এবং ভারতরত্ন সহ অন্যান্য উচ্চ পুরষ্কার তাকে প্রদান করা হয়েছে। তিনি ভারতীয় বিমানবাহিনীতে ক্যাপ্টেন পদেও অভিষিক্ত হন। ২০১২ সালে তিনি রাজ্যসভার সদস্য মনোনীত হন।
তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে বলা যায়, তার পিতা রমেশ তেন্ডুলকর একজন মারাঠি ঔপন্যাসিক ছিলেন। শচীনের ক্রিকেট জীবনে তার পিতার প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
শচীন তেন্ডুলকর কেবল একজন ক্রিকেটার নন, তিনি একজন কিংবদন্তী। তার অবদান ক্রিকেটের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।