লেবার কোর্ট

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

বাংলাদেশের লেবার কোর্ট: শ্রমিকদের অধিকারের প্রহরী

বাংলাদেশের শ্রম আইন ও শ্রমিকদের অধিকার রক্ষার জন্য লেবার কোর্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি শুধুমাত্র শ্রমিকদের সাথে জড়িত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্যই নয়, বরং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান যা ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে এবং শ্রমিকদের অধিকারের প্রতি সমর্থন প্রদান করে। ১৯৬৯ সালে শিল্প সম্পর্কিত অধ্যাদেশের ৩৫ (২) ধারা অনুযায়ী লেবার কোর্ট প্রতিষ্ঠিত হয়। শ্রমিকদের মজুরি, কর্মপরিবেশ, বরখাস্ত, ছুটি, এবং অন্যান্য শ্রমিকদের অধিকার সংক্রান্ত বিরোধের বিচার এই আদালতে হয়।

লেবার কোর্টের কার্যক্রম:

লেবার কোর্ট শ্রমিকদের মামলা গ্রহণ করে এবং উভয় পক্ষের সাক্ষ্য, প্রমাণ পরীক্ষা করে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। এই আদালত বিচারকার্য পরিচালনার জন্য বিভিন্ন আইন ও বিধি অনুসরণ করে। বিভিন্ন জেলা ও বিভাগে অবস্থিত লেবার কোর্টগুলি দেশের বিভিন্ন স্থানে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা নিশ্চিত করে। লেবার কোর্টের আপিল ট্রাইব্যুনালও বিদ্যমান যা লেবার কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ দেয়।

লেবার কোর্ট ও শ্রম সংস্কার কমিশন:

শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিভিন্ন সময়ে শ্রম সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। এই কমিশন লেবার কোর্টের কার্যক্রম এবং শ্রম আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ নিশ্চিত করার জন্য সুপারিশ প্রদান করে। উদাহরণস্বরূপ, [তারিখ] তারিখে গঠিত ১০ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিশনের নেতৃত্বে ছিলেন বিলসের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ। এই কমিশনে বাংলাদেশ লেবার কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম নাসিমসহ শ্রমিক নেতা ও আইনজীবীরা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।

গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান:

  • বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন (শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনাল, ঢাকা)
  • সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ (বিলসের নির্বাহী পরিচালক ও শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান)
  • ড. মাহফুজুল হক (সাবেক সচিব, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়)
  • অ্যাডভোকেট এ কে এম নাসিম (বাংলাদেশ লেবার কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি)
  • বাংলাদেশ লেবার কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন
  • বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন
  • বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র
  • বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ
  • বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশন

চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ:

লেবার কোর্ট শ্রমিকদের জন্য ন্যায়বিচার প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে, দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা এবং আধুনিকীকরণের মাধ্যমে এর কার্যকরিতা আরও বাড়ানো সম্ভব। শ্রম আইন ও লেবার কোর্টের কার্যক্রমের সচেতনতা বৃদ্ধি শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৬৯ সালে শিল্প সম্পর্কিত অধ্যাদেশের ৩৫(২) ধারা অনুযায়ী লেবার কোর্ট প্রতিষ্ঠিত হয়।
  • শ্রমিকদের মজুরি, কর্মপরিবেশ, বরখাস্ত, ছুটিসহ নানা বিষয়ে মামলা লেবার কোর্টে হয়।
  • লেবার কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপীলের সুযোগ বিদ্যমান।
  • বিভিন্ন শ্রম সংস্কার কমিশন লেবার কোর্টের কার্যক্রম পর্যালোচনা ও सुधारের সুপারিশ করে।
  • শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষা ও ন্যায়বিচার প্রদানে লেবার কোর্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।