শ্রম সংস্কার

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

শ্রম সংস্কার কমিশন: বাংলাদেশের শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যাণের লক্ষ্যে

২০১৮ সালের ৫ই আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর, ডঃ মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি ১০ সদস্যবিশিষ্ট শ্রম সংস্কার কমিশন গঠন করে। ১৮ নভেম্বর, ২০১৮ তারিখে এই কমিশন গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়। কমিশনের প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান বিলসের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ।

কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যগণ:

  • ডঃ মাহফুজুল হক: বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের (শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং পরিবেশ) সাবেক সচিব।
  • ডঃ জাকির হোসেন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ) অধ্যাপক।
  • তপন দত্ত: বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সভাপতি।
  • অ্যাডভোকেট এ কে এম নাসিম: বাংলাদেশ লেবার কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি।
  • ম. কামরান টি রহমান: বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি।
  • চৌধুরী আশিকুল আলম: বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সভাপতি।
  • সাকিল আখতার চৌধুরী: বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক।
  • তাসলিমা আখতার: আলোকচিত্রী ও শ্রমিক আন্দোলন সংগঠক।
  • একজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি:

কমিশনের কার্যপরিধি:

কমিশন শ্রম অধিকার ও শ্রমিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রস্তাব প্রণয়ন করবে। কমিশন ৯০ দিনের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা।

শ্রম আইন সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা:

প্রায় সাড়ে সাত কোটি শ্রমিকের মধ্যে ৮৫-৮৭% অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত। শ্রম আইন ২০০৬ এবং এর পরবর্তী সংশোধনীতে অনেক শ্রমিক, বিশেষ করে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষিত নেই। অনেকেই অতিরিক্ত সময় কাজ করার পরও অতিরিক্ত মজুরি পান না, ক্ষতিপূরণ পান না, বরখাস্তের সময় কোন আইনগত সুরক্ষা পান না।

কমিশনের কাজ:

কমিশন শ্রম আইন সংস্কার, শ্রম সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের কাঠামোগত সংস্কার, শিল্প সম্পর্ক উন্নয়ন, ট্রেড ইউনিয়নের চর্চা, শ্রমিকদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ, কর্মসংস্থান সুরক্ষা, মজুরি ও ক্ষতিপূরণ, সামাজিক নিরাপত্তা, পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা, অভিবাসী শ্রমিকদের সুরক্ষা, শিশুশ্রম নিরসন, নারী ও অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষা—সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সুপারিশ প্রণয়ন করবে।

উল্লেখ্য: এই প্রতিবেদন শুধুমাত্র উপলব্ধ তথ্যের উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে। অতিরিক্ত তথ্য পাওয়ার সাথে সাথেই এটি আপডেট করা হবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১০ সদস্যের শ্রম সংস্কার কমিশন গঠন করেছে।
  • কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ।
  • শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিতকরণ কমিশনের প্রধান উদ্দেশ্য।
  • ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা।
  • শ্রম আইন সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।