লুৎফে সিদ্দিকী: একজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ এবং কূটনীতিক
লুৎফে সিদ্দিকী বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব যিনি অর্থনীতি, আর্থিক ব্যবস্থাপনা, এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদান রেখেছেন। তিনি একজন প্রতিভাবান অর্থনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ এবং কূটনীতিক হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত।
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন:
লুৎফে সিদ্দিকীর জন্ম ডিসেম্বর ১৯৭৬ সালে। তার পরিবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলা থেকে আসা। তার পিতা এ. ওয়াই. বি. আই. সিদ্দিকী ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের ১৬তম পুলিশ মহাপরিদর্শক এবং তার মা রেহানা সিদ্দিকী। তিনি ঢাকার স্কলাস্টিকায় এবং ওয়েলসের আটলান্টিক কলেজে পড়াশোনা করেন। তিনি ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক এবং লন্ডন স্কুল অফ ইকোনোমিকস থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
পেশাগত জীবন:
লুৎফে সিদ্দিকীর পেশাগত জীবন অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। ২০০৬ সালে তিনি বার্কলেস ব্যাংকের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের রিস্ক অ্যাডভাইজরি এবং কর্পোরেট ফরেন এক্সচেঞ্জের প্রধান ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বার্কলেস ক্যাপিটালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে পদোন্নতি লাভ করেন। তিনি ইউবিএস নলেজ নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান ছিলেন।
তিনি ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের অ্যাডজান্ট প্রফেসর এবং লন্ডন স্কুল অফ ইকোনোমিকসের (LSE) ফরেন পলিসি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক LSE IDEAS-এর প্র্যাকটিস ভিজিটিং প্রফেসর। তিনি বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের একজন এজেন্ডা কন্ট্রিবিউটর এবং ব্রেটন উডস কমিটির একজন কন্ট্রিবিউটর। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (CIP) ঘোষণা করে। ২০১২ সালে তিনি বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে ইয়াং গ্লোবাল লিডার হিসেবে স্বীকৃতি পান।
২০২১ সালের জানুয়ারিতে, লুৎফে সিদ্দিকী সিএফএ ইনস্টিটিউটের রিজিয়নস অ্যান্ড সোসাইটি রিলেশন্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর নিযুক্ত হন এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ব্যাংকিং এবং ক্যাপিটাল মার্কেটস ট্রান্সফরমেশন ম্যাপের কো-কিউরেটর হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি হাফিংটন পোস্টে অবদান রেখেছেন এবং সিএফএ সোসাইটি নিউ ইয়র্কে বক্তৃতা দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক অবদান:
লুৎফে সিদ্দিকী আন্তর্জাতিক অর্থনীতি এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখেছেন। তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বক্তৃতা ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী তার দক্ষতা ও জ্ঞান প্রদর্শন করেছেন।
সম্মাননা ও স্বীকৃতি:
লুৎফে সিদ্দিকী তার অসাধারণ অবদানের জন্য বিভিন্ন সম্মাননা ও স্বীকৃতি অর্জন করেছেন। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত এবং তিনি একজন বিশিষ্ট পেশাদার হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত। তার অবদান ভবিষ্যতে ও উল্লেখযোগ্য থাকবে।