লন্ডন ক্লিনিক: এক ঐতিহ্যবাহী বেসরকারি হাসপাতালের কথা
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত লন্ডন ক্লিনিক একটি বিখ্যাত বেসরকারি হাসপাতাল। প্রায় শতাব্দী প্রাচীন এই হাসপাতালটি ১৯৩২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তৎকালীন ডিউক ও ডাচেস অব ইয়র্ক এর উদ্বোধন করেন। এটি সেন্ট্রাল লন্ডনের ডেভনশায়ার প্লেস ও মেরিলিবন সড়কে অবস্থিত এবং ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় বেসরকারি হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত।
লন্ডন ক্লিনিক বিভিন্ন ধরণের চিকিৎসা সেবা প্রদান করে। তাদের বিশেষত্বের মধ্যে রয়েছে ব্রেস্ট (স্তন), ইউরোলজি, গাইনোকলজি (স্ত্রীরোগবিদ্যা) এবং চর্মরোগ চিকিৎসা। হাসপাতালটি স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্টেশন ও সেলুলার থেরাপিতেও অত্যন্ত সুনাম অর্জন করেছে। তাদের ডাচেস অব ডেভনশায়ার উইং ম্যাকমিলান কোয়ালিটি এনভায়রনমেন্ট মার্ক (এমকিউইএম) কর্তৃক ‘চমৎকার’ ক্যান্সার সেন্টার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
লন্ডন ক্লিনিকে প্রোস্টেট ক্যান্সারের রোগীদের জন্য রেডিওথেরাপির ব্যবস্থা রয়েছে। এন্ডোস্কপির জন্য ‘স্পাইগ্লাস’ প্রযুক্তি এবং ক্যান্সার রোগীদের জন্য ‘সিএআর-টি’ ইমিউনোথেরাপি সেবাও পাওয়া যায়। ২০০১ সালে হাসপাতালটিতে এমআরআই ইউনিট এবং ২০১০ সালে একটি ক্যান্সার ইউনিট উদ্বোধন করা হয়। ২০০১৯ সালে রোবোটিক সার্জারি ইউনিট চালু করা হয়। কেয়ার কোয়ালিটি কমিশনের ২০২১ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, লন্ডন ক্লিনিকের বহির্বিভাগে প্রতিবছর গড়ে এক লাখ ১০ হাজার এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ২৩ হাজার রোগী চিকিৎসা নেন।
তবে লন্ডন ক্লিনিকে লিভার প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা নেই বলে তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে।
লন্ডন ক্লিনিকে বিভিন্ন সময় ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রপ্রধান, রাজনীতিক, অভিনেতা এবং ধনাঢ্য ব্যক্তিরা চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ, তার স্বামী ফিলিপ অব এডিনবরা, রাজা তৃতীয় চার্লস, প্রিন্স অব ওয়েলস উইলিয়ামের স্ত্রী প্রিন্সেস অব ওয়েলস ক্যাথরিন, ব্রিটিশ-আমেরিকান অভিনেত্রী লিজ টেইলর এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি।
এই তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে একটি স্পষ্ট ও নির্ভরযোগ্য নিবন্ধ লেখা সম্ভব হয়েছে। আমরা আশা করি এই তথ্য আপনার জন্য উপযোগী হবে।