সিলেট নগরীর দুটি হাসপাতালের চত্বরে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট, দোকানপাট। এতে রোগী ও সাধারণ মানুষের চলাচলে ব্যাপক বিঘ্নের সৃষ্টি হচ্ছে। এই অবৈধ ব্যবসা বন্ধে কর্তৃপক্ষের কোনও পদক্ষেপ নেই।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতাল ও শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের চত্বরে এই দোকানপাট ও রেস্টুরেন্টগুলি গড়ে উঠেছে। শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল চত্বরে ‘নিউ সিটি রেস্তোরাঁ’ নামের একটি রেস্টুরেন্ট আট বছর যাবৎ চলে আসছে। রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ দাবি করে, হাসপাতাল ক্যানটিন হিসেবে ১০ বছরের জন্য ৬০ লাখ টাকায় ইজারা নেওয়া হয়েছে, যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ তথ্য অস্বীকার করেছে। এছাড়াও, ওই চত্বরে আরও দুটি পানের দোকান রয়েছে।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের ফটকের পাশে প্রায় এক মাস ধরে ‘এল এ এন ভ্যারাইটিজ স্টোর’ নামে একটি মুদি দোকান অবৈধভাবে চালু হয়েছে। দোকান মালিক দাবি করে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে অস্থায়ীভাবে এটি করা হয়েছে। তবে এতে জরুরি বিভাগে যাতায়াতে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
দুটি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে, শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের প্রশাসন বিভাগের প্রধান সহকারী মাহফুজুর রহমান মাসিক ভাড়ার কথা বলেছেন, যদিও তিনি বিস্তারিত তথ্য অধীক্ষকের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হক তিনি সম্প্রতি যোগদান করেছেন এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা বলেছেন।
এই ঘটনায় স্পষ্ট হয়, রোগীদের সুবিধার চেয়ে ব্যক্তিস্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। সরকারি হাসপাতালের চত্বরকে বাণিজ্যিক ব্যবহারের বৈধতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। দ্রুত এই অবৈধ দোকানপাট ও রেস্টুরেন্টগুলি অপসারণ করার জন্য কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।