রুহেল আহমদ নামে একাধিক ব্যক্তি বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে উল্লেখিত হয়েছেন। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, তাদের মধ্যে কয়েকজনের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিম্নরূপ:
প্রথম রুহেল আহমদ: বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের ঘুঙ্গাদিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে। একজন ট্রাভেলস ব্যবসায়ী। মাদক বিক্রি-সেবন ও উশৃংখলতার বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির কাজে জড়িত থাকার কারণে একটি অপরাধী চক্রের হামলার শিকার হন এবং পঙ্গু হয়ে পড়েন। ২০২৪ সালের ২৬ অক্টোবর তার উপর হামলা হয় এবং ২০ ডিসেম্বর তার গাড়িচালক মাসুম আহমদকেও মারধর করা হয়। ঘটনার সাথে হাছন আলী হাছইয়ের ছেলে আব্দুস শুকুর, খালেদ আহমদ, বাদল আহমদ, ফরহাদ হোসেন, ফয়ছল আহমদ, সুরমান আলীর ছেলে আবুল কালাম বাবলু, হামিদুল হক, মৃত নূর উদ্দিনের ছেলে তানভীর আহমদ, মাহিন আহমদ, ছফর উদ্দিন কটইয়ের ছেলে আব্দুল গণি, তানিম আহমদ, আবু তাহের, হামিদুল হকের ছেলে হানিফ আহমদ, মৃত সুরমান আলীর ছেলে আবু হোসেন, বাদল হোসেনের ছেলে আকবর হোসেন, মৃত নামর আলীর ছেলে বিলকুছ উদ্দিন নামে একাধিক ব্যক্তি জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।
দ্বিতীয় রুহেল আহমদ (গেদন): গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের মধ্য কানিশাইল গ্রামের মরহুম ছুয়াব আলীর ছেলে। একজন কুখ্যাত ডাকাত। ২০২৫ সালের ৮ জানুয়ারী পুলিশ অভিযানে গোলাপগঞ্জে আটক হন। গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় ডাকাতি মামলা (মামলা নং-০৪) এর পলাতক আসামি ছিলেন।
তৃতীয় রুহেল আহমদ: বিয়ানীবাজার উপজেলা যুবলীগ নেতা, চিনি ও সোনা চোরাচালানকারী, জাল টাকার ব্যবসায়ী, গরু চুরির সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত। মানব পাচারের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। মিথ্যা মামলা, উদ্দেশ্যমূলক হয়রানি, সন্ত্রাসী দ্বারা হুমকি ও বাড়িতে হামলায় ৫টি পরিবার ভীত-সন্ত্রস্ত। হাজেরা বেগম নামের এক বৃদ্ধার দুই ছেলে এই রুহেল আহমদের জিগাংসার শিকার হয়ে জেল খাটছেন। ২০২৪ সালের ২৭ অক্টোবর তার উপর হামলা হয়।
চতুর্থ রুহেল আহমদ: মৌলভীবাজারের পৌর শহরের ১ নং ওয়ার্ডে বন্যা কবলিত মানুষদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করেছেন। যুক্তরাজ্য প্রবাসী সমাজসেবক। ২০২৪ সালের ২৪ জুন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানের নির্দেশে বন্যা কবলিতদের সাহায্য করেন।
উল্লেখ্য, প্রাপ্ত তথ্য সীমিত। আরও তথ্য উপস্থাপন করা সম্ভব হলে, আর্টিকেলটি আপডেট করা হবে।