তরিকুল

আপডেট: ১ জানুয়ারী ২০২৫, ৬:০১ এএম

তরিকুল ইসলাম: বাংলাদেশের রাজনীতি ও সাংবাদিকতার এক অবিচ্ছেদ্য নাম

তরিকুল ইসলাম (১৬ নভেম্বর ১৯৪৬ - ৪ নভেম্বর ২০১৮) ছিলেন একজন বিশিষ্ট বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তিনি দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকার প্রকাশক ছিলেন এবং বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। তার রাজনৈতিক জীবন ছিল বহুমুখী এবং দীর্ঘ। তিনি ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন:

তার জন্ম ১৬ নভেম্বর, ১৯৪৬ সালে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) যশোরে। পিতা আব্দুল আজিজ একজন ব্যবসায়ী ছিলেন এবং মাতা মোসাম্মৎ নূরজাহান বেগম গৃহিণী ছিলেন। যশোর জিলা স্কুল থেকে ১৯৬১ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজ থেকে ১৯৬৩ সালে আইএ ও ১৯৬৮ সালে অর্থনীতিতে বিএ পাশ করেন। ১৯৬৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।

ছাত্র রাজনীতি ও রাজনৈতিক কর্মজীবন:

ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন তিনি। ১৯৬২ সালে যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের জরাজীর্ণ শহীদ মিনার মেরামতের জন্য তৎকালীন সামরিক সরকারের কাছে গ্রেফতার হন। ১৯৬৩-১৯৬৪ শিক্ষাবর্ষে ছাত্র ইউনিয়নের প্রার্থী হিসেবে কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৮ সালে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য কারাবরণ করেন। ১৯৭০ সালে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগদান করেন। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি থেকে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল এবং পরে বিএনপিতে যোগদান করেন। বিএনপির প্রথম আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। যশোর জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। বিএনপিতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন, যেমন যুগ্ম মহাসচিব, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, ভাইস চেয়ারম্যান এবং ২০০৯ সালে স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।

সংসদীয় জীবন ও মন্ত্রিত্ব:

১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদে যশোর-৯ আসন থেকে নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে যশোর-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য হন। বিএনপি সরকারের সময় তিনি সমাজকল্যাণ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালের চারদলীয় জোট সরকারে তথ্য এবং পরে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে কাজ করেন।

পারিবারিক জীবন ও মৃত্যু:

তার স্ত্রী নারগিস ইসলাম যশোর সরকারি সিটি কলেজে বাংলা বিভাগের উপাধ্যক্ষ ছিলেন। তাদের দুই ছেলে ছিল। ৪ নভেম্বর ২০১৮ সালে ঢাকার এপোলো হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

অবদান:

তরিকুল ইসলাম দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। যশোরের উন্নয়ন, বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন এবং অন্যান্য উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে তার ভূমিকা স্মরণীয়।

যোগ করার মতো তথ্য যদি থাকে, তাহলে আমরা পরবর্তীতে এই লেখাটি আরও সমৃদ্ধ করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • তরিকুল ইসলাম ছিলেন একজন বিশিষ্ট বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক।
  • তিনি বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকার প্রকাশক ছিলেন।
  • তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
  • তিনি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
  • তার মৃত্যু হয় ৪ নভেম্বর, ২০১৮ সালে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - তরিকুল

১ জানুয়ারী ২০২৫, ৬:০০ এএম

তরিকুল অভয়নগরে সরিষার আবাদ করেছেন।

১ জানুয়ারী ২০২৫

তরিকুল অভয়নগরে ব্যাপক সরিষার আবাদ করেছেন এবং বাম্পার ফলনের আশা করছেন।