রিলে পদ্ধতি

উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততা সমস্যা সমাধানে এবং পতিত জমি আবাদে ‘রিলে পদ্ধতি’ একটি নতুন প্রযুক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত গবেষক ড. মৃন্ময় গুহ নিয়োগী অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাগ্রিকালচারাল রিসার্চের সহায়তায় সাত-আট বছর ধরে এই পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করেছেন। রিলে পদ্ধতির মাধ্যমে আমন ধান কাটার পর মধ্য নভেম্বরেই জমিতে গমের বীজ ছিটানো হয়। এতে জমিতে আবার চাষের প্রয়োজন হয় না, উৎপাদন খরচ কমে যায় এবং পরিবেশবান্ধব হয়। গম ও মুগডাল জাতীয় ফসল অল্প সেচে ভাল ফলন দেয় এবং কিছুটা লবণাক্ততা সহ্য করতে পারে। বরগুনার নলবুনিয়ায় কৃষকরা এই পদ্ধতি ব্যবহার করে সফলতা পেয়েছেন। ড. নিয়োগীর গবেষণায় দেখা গেছে, উপকূলীয় লবণাক্ত জমির নিচের ১১০০-১২০০ ফুট গভীরের পানি লবণাক্ততামুক্ত ও সেচযোগ্য। সাবমারসিবল পাম্প ব্যবহার করে এই পানি উত্তোলন করে রিলে পদ্ধতিতে ফসল চাষ করা সম্ভব। এছাড়াও, এই পদ্ধতি দিয়ে নিরাপদ পানিও পাওয়া যায়। এই ছোট প্রযুক্তি উপকূলীয় কৃষকদের জীবনে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।

মূল তথ্যাবলী:

  • রিলে পদ্ধতি: আমন ধান কাটার পর মধ্য নভেম্বরে গম বীজ ছিটানো।
  • উৎপাদন খরচ কম, পরিবেশবান্ধব।
  • গম ও মুগডাল অল্প সেচে ভাল ফলন দেয়।
  • লবণাক্ততা সহনশীল ফসল।
  • গভীর থেকে লবণাক্ততামুক্ত পানি উত্তোলন সম্ভব।