রাশিয়ার 2024 সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: এক নজরে
রাশিয়ায় 15-17 মার্চ তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পঞ্চমবারের জন্য ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হলেও, নির্বাচনের গুরুত্ব কেবলমাত্র ফলাফলে নয়, বরং রাশিয়ার রাজনৈতিক বাস্তবতা ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটের প্রতিফলন হিসেবে লক্ষণীয়।
ভ্লাদিমির পুতিন ২০০০ সাল থেকে রাশিয়ার ক্ষমতায় রয়েছেন। ২০০৮ থেকে ২০১২, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করলেও ক্ষমতা তাঁর কাছেই ছিল। ২০২০ সালে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে তিনি ২০৩৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার পথ সুগম করেছেন, যা তাঁকে রাশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা শাসক করে তুলবে।
এই নির্বাচনে পুতিনের প্রতিদ্বন্দ্বীরা – লিওনিদ স্লাটস্কি, নিকোলাই খারিতোনভ এবং ভ্লাদিস্লাভ দাভানকোভ – তাদের কোনোই পুতিনের জন্য প্রকৃত হুমকি নয়। পুতিনের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যালেক্সেই নাভালনির মৃত্যু রাশিয়ার রাজনৈতিক দৃশ্যপটের এক বাস্তবতা তুলে ধরেছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ বর্তমানে রাশিয়ার দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা, যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং বিদেশিদের দেশ ত্যাগ এই নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করেছে। নির্বাচনকে ক্রেমলিন ব্যবহার করছে জনসমর্থন প্রদর্শন করার জন্য এবং যুদ্ধসহ তাঁদের সিদ্ধান্তগুলোকে বৈধতা দান করার জন্য।
নির্বাচন কমিশন ৭০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি ও পুতিনের ৮০ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ের আশা করে। তবে স্বাধীন পর্যবেক্ষক ও বিরোধীরা নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চলগুলোতে ভোটগ্রহণ ও দেশের বাইরে থাকা রাশিয়ানদের ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যাপারেও সমালোচনা রয়েছে।
ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশসমূহ নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ ও ‘সাজানো’ বলে অভিহিত করেছে। বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক প্রভাব ও রাশিয়ার ভবিষ্যতের উপর এই নির্বাচনের ফলাফলের প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ।