রাজস্ব আয়

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

রাজস্ব আয় বলতে কোনও সরকার কর ও কর-বহির্ভূত উৎস থেকে প্রাপ্ত অর্থকে বোঝায়। এই অর্থ ব্যবহার করে সরকার বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে থাকে। রাজস্ব আয়ের প্রধান উৎস হলো কর, যা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর-এ দুই ভাগে ভাগ করা যায়। প্রত্যক্ষ করের মধ্যে আয়কর, সম্পদ কর অন্তর্ভুক্ত এবং পরোক্ষ করের মধ্যে রয়েছে মূল্য সংযোজন কর (VAT), আমদানী শুল্ক ইত্যাদি। কর-বহির্ভূত উৎস থেকেও সরকার রাজস্ব আয় করে। এর মধ্যে রয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠানের মুনাফা, জরিমানা, সম্পদ বিক্রয় এবং বৈদেশিক সাহায্য। রাজস্ব আয়ের পরিমাণ একটি দেশের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক। উন্নত দেশগুলিতে রাজস্ব আয়ের হার সাধারণত উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় অনেক বেশি। বাংলাদেশে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রাজস্ব আয়ের কার্যক্রম তদারকি করে। সরকার প্রতি বছর বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কর সংগ্রহের প্রক্রিয়া সহজীকরণ, কর ফাঁকি রোধ, এবং কর-বহির্ভূত উৎস থেকে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করা গুরুত্বপূর্ণ। রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করার জন্য সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে, যেমন ডিজিটাল কর ব্যবস্থা চালু করা, করদাতা সেবার মান উন্নত করা, এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করা। রাজস্ব আয়ের অর্থ দিয়ে সরকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, ও অন্যান্য জনকল্যাণমূলক কর্মসূচিতে ব্যয় করে থাকে।

মূল তথ্যাবলী:

  • রাজস্ব আয়ের প্রধান উৎস হলো কর (প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ)
  • কর-বহির্ভূত উৎস: সরকারি প্রতিষ্ঠানের মুনাফা, জরিমানা, সম্পদ বিক্রয়, বৈদেশিক সাহায্য
  • জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রাজস্ব আয় তদারকি করে
  • রাজস্ব আয়ের হার দেশের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যের নির্দেশক
  • ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা: ৫ লাখ কোটি টাকা

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - রাজস্ব আয়

চট্টগ্রাম বন্দরের রাজস্ব আয় ২০২৪ সালে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে।