রাজধানীর পান্থপথ: একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগপথ ও ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু
ঢাকার কাওরান বাজার এলাকায় অবস্থিত পান্থপথ রাজধানীর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। টঙ্গী ডাইভারশন রোড, ময়মনসিংহ রোড (বর্তমানে ওল্ড এয়ারপোর্ট রোড) এবং মিরপুর রোডকে এটি সংযুক্ত করে। ১৯৮৪ সালের শেষের দিকে নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ১৯৮৯ সালে সম্পন্ন হয়। পান্থপথের অবস্থান কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এখানে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ শপিংমল বসুন্ধরা সিটি, স্কয়ার হাসপাতাল, সামরিতা হাসপাতাল, ইউনিক ট্রেইড সেন্টার এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান অবস্থিত। গ্রীন রোড এই সড়ককে উত্তর থেকে দক্ষিণে ছেদ করেছে।
ঘটনাবলী:
পান্থপথ সম্প্রতি বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চের (নিটার) শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিষ্ঠানের পরিচালকের অপসারণসহ বিভিন্ন দাবিতে এই সড়কে অবস্থান করে আন্দোলন করেছিলেন। আরও, বসুন্ধরা সিটি শপিংমলের ব্যবসায়ীরা মার্কেট ইনচার্জ মহসিন করিমের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছিলেন, যার ফলে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছিল। এই ঘটনাগুলি পান্থপথের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান ও এর চারপাশের ব্যস্ততার একটা স্পষ্ট নির্দেশক।
ট্রাফিক পুলিশের চ্যালেঞ্জ:
পান্থপথে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদেরও নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। তীব্র গরম, যানজট এবং জনসাধারণের নানা ধরনের আচরণ তাদের কাজকে আরও কঠিন করে তোলে।
প্রাকৃতিক ঘটনার প্রভাব:
প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাবও পান্থপথে পড়ে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের সময় একটি গাছ পড়ে যান চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছিল।
উপসংহার:
পান্থপথ ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এবং এটি নানা ঘটনার সাক্ষী। এই সড়কের উন্নয়ন ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নতিকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করা যায়, ভবিষ্যতে এই সড়ক আরও উন্নত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জনগোষ্ঠীর চাহিদা পূরণে সক্ষম হবে।