রমিজ পাড়া

রমিজ পাড়া: পাহাড় কাটা, বনভূমি আত্মসাত ও বিতর্ক

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের ঢালারমুখ এলাকায় অবস্থিত রমিজ পাড়া সম্প্রতি বনভূমি আত্মসাতের অভিযোগে আলোচনায় এসেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেলোয়ার হোছাইন নামে এক ব্যক্তি বনভূমির রিজার্ভ জায়গায় পাহাড় কেটে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন। তিনি দাবি করেন বন বিভাগের কর্মকর্তাদের মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে এ কাজটি করছেন, তবে বন বিভাগ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা জসিম উদ্দিনের মতে, চট্টগ্রাম দক্ষিণ বিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জ অফিসের অধীনে পাহাড়ি রিজার্ভ জায়গায় অবৈধভাবে পাহাড় কেটে দালান নির্মাণের ঘটনা বহুল প্রচলিত। রমিজ পাড়ায় দেলোয়ার হোছাইনের চার কক্ষ বিশিষ্ট বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের দিকে। এ কাজে বনজ প্রকৃতির বেশ কিছু গাছপালা কাটা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, বারবাকিয়া বিট কর্মকর্তা ও রেঞ্জ কর্মকর্তাকে ঘুষ দিয়ে এই নির্মাণকাজ চলছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বহুতল ভবনটির পিলার তৈরি করা হয়েছে এবং নির্মাণ সামগ্রী জোগাড় করা হচ্ছে। দেলোয়ার হোছাইন বলেছেন, তিনি বন বিভাগকে টাকা দিয়ে এ কাজ করছেন এবং বন বিভাগ তাকে আশ্বস্ত করেছে কোন সমস্যা হবে না।

বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুল হক এই ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন এবং জানিয়েছেন রিজার্ভ জায়গায় কোন অনুমতি ছাড়া এ ধরনের দালান নির্মাণ করা যায় না। তিনি জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলেছেন। তবে জনবল সংকটের কথা উল্লেখ করে তিনি অনেক কিছু জানেন না বলেও মন্তব্য করেছেন। রমিজ পাড়ার এই বনভূমি আত্মসাতের ঘটনা পরিবেশ ও প্রকৃতির ক্ষতির দিকে ইঙ্গিত করে। এ ঘটনার সঠিক তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী উঠেছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • কক্সবাজারের পেকুয়ায় রমিজ পাড়ায় বনভূমি আত্মসাতের ঘটনা
  • দেলোয়ার হোছাইন নামে এক ব্যক্তি পাহাড় কেটে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন
  • বন বিভাগের কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে কাজ চলছে বলে অভিযোগ
  • স্থানীয়দের ক্ষোভ ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

গণমাধ্যমে - রমিজ পাড়া