রমজান আখমাদোভিচ কাদিরভ (জন্ম: ৫ অক্টোবর, ১৯৭৬) হলেন একজন রুশ রাজনীতিবিদ এবং বর্তমান চেচেন প্রজাতন্ত্রের প্রধান। তিনি চেচেন স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন তার পিতার মাধ্যমে, যিনি চেচনিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদী-নিযুক্ত মুফতি ছিলেন। তিনি রুশ সামরিক বাহিনীর কর্নেল জেনারেল।
কাদিরভ প্রাক্তন চেচেন রাষ্ট্রপতি আখমাদ কাদিরভের পুত্র। আখমাদ কাদিরভ দ্বিতীয় চেচেন যুদ্ধে রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশাসনের সাথে যোগদান করে রুশদের বিজয় অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং ২০০৩ সালে চেচনিয়ার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালের মে মাসে তাকে হত্যা করা হয় এবং আলু আলখানভকে চেচনিয়ার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করা হয়। পরে ২০০৭ সালে রমজান কাদিরভ আলু আলখানভের স্থলাভিষিক্ত হন।
কাদিরভের শাসনকালে চেচেন প্রজাতন্ত্রে স্বৈরাচার ও দমন-পীড়নের অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে চেচেন স্বাধীনতা আন্দোলনের সমর্থকদের জঘন্যভাবে দমন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তার সরকারের অধীনে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য তিনি আন্তর্জাতিক সংস্থার সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, জোরপূর্বক নিখোঁজ ও নির্যাতনের ঘটনা এত ব্যাপক যে এগুলো মানবতাবিরোধী অপরাধের সমতুল্য। তিনি নারীদের সামাজিক জীবনে বিধিনিষেধ আরোপের পক্ষে মত দিয়েছেন এবং এলজিবিটি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নির্মম অভিযান পরিচালনা করেছেন। কাদিরভকে প্রায়শই বিরোধী, মানবাধিকার কর্মী এবং তাদের আত্মীয়স্বজনদের অপহরণ, হত্যা ও নির্যাতনে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
জনসম্মুখে কাদিরভ একজন অতি-পুরুষত্ববাদী ভাবমূর্তি তৈরি করেছেন, প্রায়শই তাকে বন্দুক ও সামরিক পোশাক নিয়ে দেখা যায় অথবা তার বিপুল সম্পদের প্রদর্শন করেন। চেচেন রিপাবলিক শাসনকালে কাদিরভ পরিবার অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হয়েছে। রাশিয়ান ফেডারেশন চেচেন সরকারকে প্রচুর অর্থ সরবরাহ করে এবং চেচেন সরকার এবং কাদিরভের মধ্যে পার্থক্য সূক্ষ্ম।