রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি): বাংলাদেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ
বাংলাদেশের রফতানি খাতের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সংস্থা হল রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে কার্যকর এই সংস্থাটি দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ইতিহাস:
ইপিবির যাত্রা শুরু হয় ১৯৬২ সালে। ১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ (XLVII of 1977) এর মাধ্যমে এটিকে আধা-স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা হিসেবে রূপান্তর করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৪ সালে এর কার্যক্রম ও কাঠামো পুনর্গঠন করা হয়। ২০০৯ ও ২০১০ সালে বস্ত্রশিল্প সংশ্লিষ্ট কিছু পদ ইপিবির সাংগঠনিক কাঠামোতে স্থায়ী করা হয়। ২০১৫ সালে ‘Export Promotion Bureau Act, 2015’ এর মাধ্যমে এটিকে একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। মাননীয় বাণিজ্যমন্ত্রী এর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান।
কার্যাবলী:
ইপিবির মূল কার্যাবলী হলো:
- রপ্তানি উন্নয়নের জন্য কার্যকর পরিকল্পনা প্রণয়নে সরকারকে পরামর্শ প্রদান।
- রপ্তানিযোগ্য পণ্য অন্বেষণ ও সম্ভাবনা যাচাই।
- রপ্তানি পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিতকরণ।
- জাতীয় রপ্তানি খাতের অর্জন ও অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ।
- রপ্তানি তথ্য ও পরিসংখ্যান সংগ্রহ ও বিতরণ।
- রপ্তানি সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রচেষ্টা সমন্বয়।
- বাজার অন্বেষণ ও পর্যবেক্ষণ।
- বিদেশে শিল্প, বাণিজ্য ও রফতানি মেলা আয়োজন ও অংশগ্রহণ।
- দেশীয় পণ্যের প্রচারণা।
- প্রশিক্ষণ, জরিপ ও গবেষণা পরিচালনা।
স্থান:
ইপিবির সদর দপ্তর ঢাকায় অবস্থিত। এছাড়া চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহীতে আঞ্চলিক কার্যালয় এবং সিলেট, কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জে শাখা অফিস রয়েছে।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ:
ইপিবির সাথে সম্পৃক্ত উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের তথ্য এই লেখায় উল্লেখ নেই। তবে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ শেষে পরবর্তীতে লেখাটি আপডেট করা হবে।
সংগঠন:
ইপিবি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে কার্যকর একটি সরকারি সংস্থা।
তথ্যের সঠিকতা:
সাম্প্রতিককালে ইপিবির রপ্তানি সংক্রান্ত তথ্যের গরমিলের বিষয়টি দেশে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বলা হচ্ছে, গত অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে ইপিবির প্রকাশিত রফতানি আয়ের তথ্য বাস্তবতা থেকে অনেক বেশি ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংক পরবর্তীতে প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করেছে। এই বিষয়ে ইপিবির পক্ষ থেকে একটি স্পষ্টীকরণের প্রয়োজন রয়েছে।
উপসংহার:
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) বাংলাদেশের রফতানি খাতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তথ্যের সঠিকতা নিশ্চিত করে আরও সুষ্ঠুভাবে কাজ করার মাধ্যমে ইপিবি বাংলাদেশের রফতানি খাতকে আরও শক্তিশালী করতে পারে।