যৌতুক নির্যাতন

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ৯:০২ পিএম

যৌতুক, পণ, বা দাবীকৃত সম্পদ—এই নামে পরিচিত কুপ্রথাটি বাংলাদেশের সমাজে একটি ব্যাপক সমস্যা। যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই প্রথায় নারীরা নির্যাতন, অত্যাচার এবং মৃত্যুর শিকার হয়। বিভিন্ন আইন থাকা সত্ত্বেও যৌতুক বন্ধ হয়নি। বিয়ের পূর্বে, বিয়ের সময়, অথবা বিয়ের পরে বরপক্ষ বা কনেপক্ষ যেকোনো সম্পদ দাবী করলে তা যৌতুক হিসেবে গণ্য হবে। মুসলমানদের ক্ষেত্রে দেনমোহর যৌতুকের অন্তর্ভুক্ত নয়। আইন অনুযায়ী, যৌতুক দাবী করা, প্রদান করা বা গ্রহণ করা গুরুতর অপরাধ। শাস্তি হিসেবে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড উভয়ই প্রযোজ্য। যৌতুকের কারণে মৃত্যু হলে মৃত্যুদণ্ডেরও বিধান রয়েছে। তবে, যৌতুক নিয়ে মিথ্যা মামলার ঘটনাও বেশ ঘটে। মিথ্যা মামলাকারীদের জন্যও কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। যৌতুকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকারি-বেসরকারি অনেক সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে। তবে, যৌতুক প্রথা সম্পূর্ণ নির্মূল করতে সামাজিক সচেতনতা এবং আইনের কঠোর বাস্তবায়ন অপরিহার্য।

মূল তথ্যাবলী:

  • যৌতুক হচ্ছে বৈবাহিক সম্পর্কের পূর্বশর্ত হিসেবে এক পক্ষের দ্বারা অপর পক্ষের কাছে সম্পদ দাবি
  • যৌতুক দাবী, প্রদান ও গ্রহণ অপরাধ, ১-৫ বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড হতে পারে
  • যৌতুকের কারণে মৃত্যু হলে মৃত্যুদণ্ডের বিধান আছে
  • মিথ্যা যৌতুক মামলা করলে ৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে
  • যৌতুক বন্ধে সামাজিক সচেতনতা ও আইনের কঠোর প্রয়োগ অত্যন্ত জরুরি

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - যৌতুক নির্যাতন

রাজশাহীতে যৌতুকের জন্য অনেক নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

৭ জানুয়ারী ২০২৫

যৌতুকের জন্য নির্যাতন ও শিকলে বেঁধে রাখার ঘটনা ঘটেছে।

২০২৪ সাল

এই বছরে যৌতুক নির্যাতনের মামলা দায়ের করা হয়।