মোহাম্মদ রশিদ: একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বর্ণনা
উপস্থাপিত তথ্য অনুসারে, "মোহাম্মদ রশিদ" নামটি একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত। তাই, স্পষ্টতার জন্য, আমরা প্রতিটি ব্যক্তিকে পৃথকভাবে বর্ণনা করছি।
১. মোহাম্মদ আবদুর রশিদ সিদ্দিকী (১৮৯৪-১৯৫০): একজন সম্পাদক, সাহিত্যিক ও গবেষক। কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার কাকারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কক্সবাজার মধ্য বাঙ্গালা বিদ্যালয়ে অসম্পূর্ণ। ১৯১৯ সালে চট্টগ্রামে 'সাধনা' নামে একটি মাসিক সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ করেন। ১৯২২ সালে কলকাতা থেকে 'মোসলেম জগৎ' পত্রিকা প্রকাশ করেন এবং এর সম্পাদকীয় নিবন্ধের জন্য গ্রেপ্তার হন। 'রক্তসেতু' নামে একটি সাপ্তাহিকও প্রকাশ করেন। তিনি চট্টগ্রামের ভাষা, ধর্ম ও সংস্কৃতিতে গবেষণা করে 'চট্টগ্রামী ভাষাতত্ত্ব' প্রমুখ গ্রন্থ রচনা করেন। উপন্যাস, কাব্য, পঞ্জিকা রচনার পাশাপাশি তিনি ১৯৩৮ সালে চকরিয়া থানা মুসলিম লীগের সেক্রেটারি ও কক্সবাজার মহকুমা মুসলিম লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন এবং কাকারা ইউনিয়ন বোর্ডের সভাপতি ছিলেন। 'বেগম খোশ' নামে একটি পেটেন্ট ওষুধ বের করে প্রচুর সম্পদ অর্জন করেন। কাকারা গ্রামে মাদ্রাসা, গ্রামরক্ষক সমিতি, পল্লীমঙ্গল সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৫০ সালের ২৬ মার্চ তার মৃত্যু হয়।
২. মোহাম্মদ আবদুর রশিদ (বিচারপতি): বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন সাবেক বিচারপতি এবং বাংলাদেশ আইন কমিশনের সাবেক চেয়ারপারসন। ১৯৪২ সালে নারায়ণগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৯ সালে হাইকোর্টের বিচারপতি হন এবং ২০০৯ সালে অবসর গ্রহণ করেন। ২০০৯ সালে আইন কমিশনের চেয়ারপারসন হন এবং ২০১০ সালে পদত্যাগ করেন। ২০২৩ সালের ২৪ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন।
৩. মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ (১৯৩৯-২০২৪): বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের শিক্ষক, শিক্ষা প্রশাসক, কবি, সম্পাদক ও অনুবাদক। বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক ও সভাপতি ছিলেন। সুফিবাদ ও সুফি সাহিত্যের লেখক এবং কলামিস্ট ছিলেন। ১৯৩৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর ভারতের আসামের তিনসুকিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। দীর্ঘদিন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। বাংলা একাডেমির অভিধান প্রকাশনা ও সুফিবাদ সম্পর্কে অবদান রয়েছে। ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
উল্লেখ্য যে, উপরোক্ত তিনটি ব্যক্তি ছাড়াও আরও অনেক 'মোহাম্মদ রশিদ' নামের ব্যক্তি থাকতে পারেন, তাদের বিস্তারিত তথ্যের জন্য পরবর্তীতে আপডেট দেওয়া হবে।