মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান নামটি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারে। প্রদত্ত তথ্য থেকে আমরা কমপক্ষে তিনজন মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান সম্পর্কে ধারণা পাই:
১. লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান: এই মাহফুজুর রহমান বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর একজন সাবেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সাবেক ১৪তম প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) ছিলেন। তিনি ১ ডিসেম্বর ১৯৬১ সালে রাজশাহী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ১৯৮১ সালে কমিশন পান। একটি পদাতিক ডিভিশনের কমান্ডার ছিলেন। স্টাফ কলেজ এবং মিরপুরে সশস্ত্র বাহিনী যুদ্ধ কোর্সে গবেষণা সম্পন্ন করেন। ভারতের জাতীয় প্রতিরক্ষা কলেজ এবং রয়েল কলেজ অফ ডিফেন্স স্টাডিজ, যুক্তরাজ্যের প্রাক্তন ছাত্র। প্রতিরক্ষা অধ্যয়ন, যুদ্ধ অধ্যয়ন এবং ব্যবসায় প্রশাসন বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি এবং ভারতের মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেন। ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ছাত্র এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে তিনি একটি বই সম্পাদনা করেন। তার লেখা আরেকটি বই প্রকাশের অপেক্ষায় আছে। সিয়েরেলিওনে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিয়েছিলেন।
২. শহীদ মাহফুজুর রহমান (মুক্তিযোদ্ধা): এই মাহফুজুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে। তার জন্ম মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার পিপুলিয়া গ্রামে। তিনি ১৯৭১ সালে জয়দেবপুর অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিতে কর্মরত ছিলেন এবং শ্রমিক রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে তিনি দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সঙ্গে যুদ্ধ করেন এবং হরিরামপুরে যুদ্ধে অংশগ্রহণের সময় ১৩ অক্টোবর ১৯৭১ সালে শহীদ হন।
৩. চট্টগ্রাম-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান: এই মাহফুজুর রহমান একজন রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ী। তিনি চট্টগ্রাম-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় লাভ করেন। তিনি এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান ছিলেন। তার জন্ম ১ জুন ১৯৭০ সালে চট্টগ্রামে।
উপরোক্ত তিনজন ব্যক্তি ছাড়াও আরও অন্যান্য মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান থাকতে পারে। আমরা আরও তথ্য সংগ্রহ করে এই নিবন্ধটি সম্পূর্ণ করব।