মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন নামটি দুই ব্যক্তিকে নির্দেশ করতে পারে, একজন বিখ্যাত কবি ও দার্শনিক এবং অপরজন একজন বাংলাদেশী অবসরপ্রাপ্ত ফুটবলার। প্রথম ইকবাল হোসেন-এর জন্য, অর্থাৎ আল্লামা মোহাম্মদ ইকবাল-এর জন্য নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
আল্লামা মোহাম্মদ ইকবাল:
আল্লামা মোহাম্মদ ইকবাল (৯ নভেম্বর ১৮৭৭ - ২১ এপ্রিল ১৯৩৮) অবিভক্ত ভারতবর্ষের একজন বিশিষ্ট মুসলিম কবি, দার্শনিক, রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ এবং ব্যারিস্টার ছিলেন। তার ফার্সি ও উর্দু কবিতা আধুনিক যুগের ফার্সি ও উর্দু সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদ হিসেবে বিবেচিত। তাকে পাকিস্তানের আধ্যাত্মিক জনক হিসেবেও স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ইসলামের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দর্শনে তার অবদানের জন্য তিনি মুসলিম বিশ্বে বিশেষভাবে সমাদৃত। তার বিখ্যাত রচনার মধ্যে রয়েছে 'আসরার-ই-খুদী', 'রুমুজ-ই-বেখুদী', 'পয়গাম-ই-মাশরিক', 'জুবুর-ই-আজাম', 'বাং-ই-দারা', 'বাল-ই-জিবরাইল' এবং 'আরমাঘান-ই-হিজাজ'। তার একটি গুরুত্বপূর্ণ দর্শন ছিল ভারতের মুসলমানদের জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন, যার প্রভাব বর্তমান পাকিস্তানের সৃষ্টিতে লক্ষণীয়।
জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন:
ইকবালের জন্ম হয়েছিল ১৮৭৭ সালের ৯ নভেম্বর, ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের (বর্তমানে পাকিস্তান) শিয়ালকোটে। তার পরিবার ছিল কাশ্মীরি ব্রাহ্মণ, যারা পরবর্তীতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল। তার পিতা শেখ নূর মোহাম্মদ ছিলেন একজন দর্জি।
শিক্ষা ও কর্মজীবন:
ইকবাল শিয়ালকোটের স্কটিশ মিশন কলেজ ও লাহোরের সরকারি কলেজে পড়াশোনা করেন। তিনি ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিজ্ঞানে স্নাতক ও মিউনিখ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি লাহোর সরকারি কলেজে অধ্যাপনাও করেছেন। তিনি সফল আইনজীবীও ছিলেন।
রাজনৈতিক জীবন:
১৯০৬ সালে অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার পর তিনি দলে যোগ দেন এবং পরে পাঞ্জাব আইনসভায় নির্বাচিত হন। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও অন্যান্য নেতাদের সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তিনি মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশের ধারণার একজন অন্যতম সমর্থক ছিলেন।
মৃত্যু:
আল্লামা মোহাম্মদ ইকবাল ২১ এপ্রিল ১৯৩৮ সালে লাহোরে মারা যান।
অন্যান্য মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন-এর বিষয়ে:
প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী দ্বিতীয় মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন একজন বাংলাদেশী অবসরপ্রাপ্ত ফুটবলার। তিনি রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার হিসেবে খেলেছেন এবং ১৯৯৯ সালের দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে স্বর্ণপদক বিজয়ী দলে ছিলেন। তিনি ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলেছেন এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় দলের টিম ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার বিরুদ্ধে একজন সাংবাদিককে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে, যার ফলে তাকে বিএনপি থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আরো তথ্য পাওয়া গেলে আমরা আপনাকে আরো তথ্য দিতে পারবো।