মোসতাক খন্দকার

আপডেট: ৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১:১১ এএম

খন্দকার মোশতাক আহমেদ (১৯১৮-১৯৯৬): বাংলাদেশের রাজনীতির একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব।

খন্দকার মোশতাক আহমেদ বাংলাদেশের ইতিহাসে একজন বিতর্কিত ব্যক্তি। একজন আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও, তিনি রাজনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত হওয়ার পর, তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিকটতম ব্যক্তিদের একজন হয়ে ওঠেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন এবং স্বাধীন বাংলাদেশে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর, মোশতাক আহমেদ নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। তার ৮৩ দিনের অল্প সময়ের শাসনামলে তিনি বিতর্কিত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেন, যা বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের দায়ীদের বিচার থেকে রেহাই দিয়েছিল। এছাড়াও, তিনি জাতীয় স্লোগান “জয় বাংলা” পরিবর্তন করে “বাংলাদেশ জিন্দাবাদ” রাখেন এবং বাংলাদেশ বেতারের নাম পরিবর্তন করে “রেডিও বাংলাদেশ” করেন। তার শাসনামলেই ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে চার জাতীয় নেতা (সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন মোঃ মনসুর আলী, ও এ. এইচ. এম. কামরুজ্জামান) হত্যা করা হয়।

১৯৭৫ সালের ৬ নভেম্বর খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে অভ্যুত্থানে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। পরবর্তীতে তিনি ডেমোক্র্যাটিক লীগ নামে একটি দল গঠন করেন, কিন্তু রাজনীতিতে আর উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেননি। ১৯৯৬ সালের ৫ মার্চ তিনি মারা যান। মোশতাক আহমেদের জীবন ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে বিতর্ক এখনও অব্যাহত রয়েছে। আরও তথ্য পাওয়া গেলে এই নিবন্ধটি আরও সম্প্রসারিত করা হবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • খন্দকার মোশতাক আহমেদ ছিলেন বাংলাদেশের ৫ম রাষ্ট্রপতি।
  • তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
  • তার শাসনামলে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি হয়।
  • তার আমলে চার জাতীয় নেতার হত্যা হয়।
  • মুজিবনগর সরকারে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।
  • তিনি আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা ছিলেন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - মোসতাক খন্দকার

৩ জানুয়ারি, ২০২৫

মোসতাক খন্দকার ক্বণন শুদ্ধতম আবৃত্তি অঙ্গনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এবং ৩৯ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছেন।