মো. সাব্বির নামটি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে, তাই স্পষ্টতার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য যোগ করা হচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দুটি মো. সাব্বির সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে:
১. শহীদ সাব্বির আহমদ:
এই সাব্বির ছিলেন একজন আদর্শবান ও সমাজসেবী তরুণ, যিনি ১৯৮২ সালের ১১ই মার্চ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংঘর্ষের সময় নিহত হন। তিনি সোনালী ব্যাংকের সাবেক নাইট গার্ড মো. জামিল খানের ছেলে ছিলেন। রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার উপশহরে তাদের বাস ছিল। তিনি ১৯৭৯ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন। শিক্ষা ও দাওয়াতি কাজের পাশাপাশি তিনি কলমের কালি তৈরি ও প্রসাধনী দ্রব্যের ব্যবসা করে নিজের পড়াশোনার খরচ নিজেই বহন করতেন। সাব্বির ‘অনুসন্ধান’ নামক সামাজিক ক্লাবের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। তাঁর আদর্শবান চরিত্র ও দুঃস্থদের প্রতি করুণা ছিল অসাধারণ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাগত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ছাত্র সংঘর্ষের সময় তিনি নিহত হন। তার মৃত্যু একটি ছাত্র রাজনৈতিক হিংসার দুঃখজনক ঘটনা।
২. মো. সাব্বির হোসেন:
এই মো. সাব্বির হোসেন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রাপ্ত নয়, কিন্তু তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার বাসিন্দা এবং সৌদি আরবে কর্মরত থাকাকালীন মৃত্যুবরণ করেন। তিনি হোসেনপুর উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের গড়মাছুয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তার মৃত্যু তুচ্ছ ঘটনায় প্রবাসীদের সাথে সংঘর্ষের ফলে হয়েছিল বলে জানা গেছে।
উভয় সাব্বিরের সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে আমরা এই তথ্য আপডেট করব।