মো. শাহীন মিয়া নামের দুই ব্যক্তির তথ্য পাওয়া গেছে। একজন কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে এবং অপরজন নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় কর্মরত।
কিশোরগঞ্জের শাহীন মিয়া (হত্যা): কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ৩৫ বছর বয়সী মো. শাহীন মিয়ার হত্যার অভিযোগে তার দ্বিতীয় স্ত্রী ঝুমুর আক্তার ওরফে ঝর্ণাকে পুলিশ আটক করেছে। ১৪ নভেম্বর ২০২৪-এর বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে কটিয়াদী পৌর সভার পশ্চিমপাড়া মহল্লায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত শাহীন উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের পাইকশা গ্রামের মো. তৈয়ব উদ্দিনের ছেলে ছিলেন। তিনি তিন কন্যা সন্তানের জনক এবং এক বছর আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর প্রথম স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া ও পরিবারের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি ঘটে। প্রথম স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে কামারকোনা মহল্লায় থাকতেন। শাহীন মাঝে মধ্যে সন্তানদের দেখতে যেতেন। বুধবার সন্ধ্যায় সন্তানদের দেখতে গিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ঝর্ণা চেতনানাশক দ্রব্য সেবন করিয়ে শাহীনকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে। শাহীনকে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসক মেহেদী হাসান তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। কটিয়াদী মডেল থানার অফিসার ইন চার্জ মো. তরিকুল ইসলাম জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
নোয়াখালীর কবিরহাটের শাহীন মিয়া (ওসি): নোয়াখালীর কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন মিয়া একটি ছাত্রদল নেতা কর্তৃক এসএসসি পরীক্ষার্থীদের উপর হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে এ ঘটনায় কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেননি। এই শাহীন মিয়ার পেশা ও অন্যান্য তথ্য সম্পর্কে আরো তথ্য সংগ্রহের প্রয়োজন।