মো. মাহবুব আলম

আপডেট: ১ জানুয়ারী ২০২৫, ১:৩০ পিএম
নামান্তরে:
মো মাহবুব আলম
মো. মাহবুব আলম

মোঃ মাহবুব আলম: একাধিক ব্যক্তিত্বের বর্ণনা

উল্লেখ্য, "মোঃ মাহবুব আলম" নামটি একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত। এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে, আমরা তাদের পৃথক পৃথক ভাবে বর্ণনা করার চেষ্টা করব।

প্রথম মোঃ মাহবুব আলম:

এই মোঃ মাহবুব আলম (১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৯ – ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০) ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এবং বাংলাদেশের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল। ১৩ জানুয়ারী ২০০৯ থেকে তিনি অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। এর পূর্বে ১৫ নভেম্বর ১৯৯৮ থেকে ৪ অক্টোবর ২০০১ পর্যন্ত অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের মৌছামন্দ্রা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বিএ (অনার্স) এবং ১৯৬৯ সালে লোক প্রশাসনে এমএ, এবং ১৯৭২ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি সম্পন্ন করেন। ১৯৭৯ সালে ভারতের নয়াদিল্লিতে সংবিধান এবং সংসদীয় গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে সাংবিধানিক আইন এবং সংসদীয় প্রতিষ্ঠান ও পদ্ধতিতে দুটি স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন।

আইন বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করার পর ১৯৭৫ সালে হাইকোর্টে অনুশীলন শুরু করেন এবং ১৯৮০ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হন। ১৯৯৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত হন এবং ২০০৪ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৫-২০০৬ সালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং ১৯৯৩-১৯৯৪ সালে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

তার স্ত্রী বিনতা মাহবুব একজন চিত্রশিল্পী। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ছেলে সুমন মাহবুব সাংবাদিক এবং মেয়ে শিশির কণা আইনজীবী। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

দ্বিতীয় মোঃ মাহবুব আলম:

এই মোঃ মাহবুব-উল আলম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন মেজর জেনারেল এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালের উপাচার্য। বিইউপিতে যোগদানের আগে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ এবং বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের এডিজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল থেকে স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে এমফিল এবং সিকিউরিটি অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিফেন্স স্টাডিজে দ্বিতীয় মাস্টার্স করেছেন। তিনি ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ থেকে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স এবং আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স সম্পন্ন করেছেন। ২১ ডিসেম্বর ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক কোরে কমিশন লাভ করেন। তিনি তুরস্ক ও চীনে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। আর্মি গলফ ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেনা সদর দপ্তরে জেনারেল স্টাফ অফিসার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। একটি পদাতিক ব্যাটালিয়নের সিও হিসেবে "অপারেশন পূর্ব প্রাচীর" এর নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এবং ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য।

তৃতীয় মোঃ মাহবুব আলম:

এই মোঃ মাহবুব আলম গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হিসেবে কর্মরত। তিনি বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ১৮তম ব্যাচের কর্মকর্তা। তার বাড়ি কুমিল্লার হোমনার খোদেদাউদপুর গ্রামে। ১৯৯৯ সালের ২৫ জানুয়ারি পুলিশে যোগ দেন। গত বছর মে মাসে ডিআইজি পদে পদোন্নতি পান। এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম কমিশনার এবং টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার ছিলেন। বিদেশে মিশনেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

চতুর্থ মোঃ মাহবুব উল আলম:

এই মোঃ মাহবুব-উল আলম (১ মে ১৮৯৮ - ৭ আগস্ট ১৯৮১) ছিলেন একজন বাংলাদেশি কথাসাহিত্যিক, সৈনিক এবং ইতিহাসবিদ। তার রচিত আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস ‘মো’মেনের জবানবন্দী’ উর্দু ও ইংরেজিতে অনূদিত হয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও পেশোয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল। সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৭৮ সালে একুশে পদক পান। চট্টগ্রামের ফতেয়াবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯১৭ সালে ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৪৯ বাঙালি পল্টনে যোগদান করেন এবং মেসোপটেমিয়ায় দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন এবং ১৯৫৪ সালে অবসর নেন। ২৮ অক্টোবর ১৯৫৪ থেকে চট্টগ্রাম থেকে তাঁর সম্পাদনায় ‘জামানা’ সাপ্তাহিক প্রকাশিত হয়। ১৯৮১ সালের ৭ আগস্ট চট্টগ্রামের কাজির দেউরীতে মৃত্যুবরণ করেন।

পঞ্চম মোঃ মাহবুব উল আলম:

এই মোঃ মাহবুব উল আলম ছিলেন দৈনিক আজাদীর সাবেক সহকারী সম্পাদক, কলামিস্ট ও গবেষক। তিনি ৮২ বছর বয়সে মারা গেছেন। তিনি মওলানা ভাসানীর সাম্রাজ্যবাদ-ঔপনিবেশবাদ-সামন্তবাদ বিরোধী রাজনীতিতে দীক্ষিত ছিলেন। তিনি বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন। দৈনিক আজাদীতে ‘লোকে বলে, বলে রে’ শিরোনামে দীর্ঘদিন কলাম লিখেছেন।

মো. মাহবুব আলম (স্পষ্টীকরণ)

মো. মাহবুব আলম (আইনজীবী): বাংলাদেশের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল।

মো. মাহবুব আলম (সেনাবাহিনী): বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল ও বিইউপির উপাচার্য।

মো. মাহবুব আলম (পুলিশ): গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার।

মো. মাহবুব-উল আলম (লেখক): বাংলাদেশি কথাসাহিত্যিক, সৈনিক ও ইতিহাসবিদ।

মো. মাহবুব উল আলম (সাংবাদিক): দৈনিক আজাদীর সাবেক সহকারী সম্পাদক।

মূল তথ্যাবলী:

  • মো. মাহবুব আলম (আইনজীবী): বাংলাদেশের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল।
  • মো. মাহবুব আলম (সেনাবাহিনী): বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল ও বিইউপির উপাচার্য।
  • মো. মাহবুব আলম (পুলিশ): গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার।
  • মো. মাহবুব-উল আলম (লেখক): বাংলাদেশি কথাসাহিত্যিক, সৈনিক ও ইতিহাসবিদ।
  • মো. মাহবুব উল আলম (সাংবাদিক): দৈনিক আজাদীর সাবেক সহকারী সম্পাদক।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - মো মাহবুব আলম

মো. মাহবুব আলম নামে এক অটোরিকশা চালককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।