মো. কামাল: একাধিক ব্যক্তি ও প্রেক্ষাপট
"মো. কামাল" নামটি একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত হওয়ায়, এই লেখাটিতে আমরা তাদের পৃথকভাবে আলোচনা করবো।
১. আবু হেনা মোহাম্মদ মুস্তফা কামাল (লোটাস কামাল): একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও ক্রিকেট সংগঠক। তিনি ১৫ জুন ১৯৪৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। শেখ হাসিনার চতুর্থ মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি কুমিল্লা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং ২০১৪-১৫ মেয়াদে আইসিসি'র সভাপতি ছিলেন। তিনি দত্তপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয়, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ এবং চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ থেকে শিক্ষা লাভ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একাউন্টেন্সি ও আইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ১৯৭০ সালে পুরো পাকিস্তানে চার্টার্ড একাউনটেন্সি (সিএ) পরীক্ষায় মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করেন। তিনি তিনবার এমপি নির্বাচিত হন এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কুমিল্লা জেলা (দক্ষিণ)-এর সভাপতি এবং অর্থ ও পরিকল্পনা সচিব। তিনি ১৯৯০-এর দশকে লোটাস কামাল পেস বোলিং ক্রিকেট একাডেমী প্রতিষ্ঠা করেন এবং আবাহনী লিমিটেডের সাবেক পরিচালক ছিলেন। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি এবং ২০১২-১৪ আইসিসি'র সহ-সভাপতি ছিলেন। ২০১৫ সালে আইসিসি'র সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
২. মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল (বীর শ্রেষ্ঠ): বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ১৬ ডিসেম্বর ১৯৪৭ সালে ভোলা জেলার দৌলতখান থানার পশ্চিম হাজীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বীর শ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত হন। ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার দরুইন গ্রামে শহীদ হন।
৩. এম আশরাফুল কামাল: বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতি। তিনি ৩ নভেম্বর ১৯৬৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক এবং বাণিজ্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
৪. মো. কামাল হোসেন: ৩৫তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে নিযুক্ত একজন কর্মকর্তা। তিনি নওগাঁর আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রতারণার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এই লেখাটিতে উল্লেখিত মো. কামালদের পরিচয়, পেশা, কর্মক্ষেত্র এবং অন্যান্য তথ্য স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যাতে তাদের মধ্যে পার্থক্য স্পষ্ট হয়।